ড্রামে খণ্ডিত মরদেহ, বন্ধুকে আসামি করে মামলা

রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় ঈদগাহের পাশে নীল ড্রামে পাওয়া খণ্ড-বিখণ্ড মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় বন্ধু জরেজকে আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলা করেছে নিহত আশরাফুল হকের পরিবার।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকালে শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় জরেজের পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজনকেও আসামি করা হয়েছে। 

সকালে মরদেহ নিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আসেন আশরাফুল হকের পরিবারের সদস্যরা। তারা জানান, কারও সঙ্গে শত্রুতা ছিল না আশরাফুলের। তিনদিন আগে বন্ধু জরেজের সঙ্গে ঢাকা আসেন তিনি। ঢাকা আসার পর থেকেই মোবাইল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সবশেষ তিনদিন আগে মোবাইল ফোনে কল করলে ওপাশ থেকে রিসিভ করে জানানো হয়, মোবাইলটি তিনি কুড়িয়ে পেয়েছেন। পরিবারের দাবি, সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত আসামিকে গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। 

শুক্রবার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করবে ঢাকা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত কেন্দ্রীয় ঈদগাহের পাশে নীল রঙের একটি ড্রামের ভেতর থেকে আশরাফুল হকের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিন রাতেই খণ্ডিত মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। 

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর বলেন, আঙুলের ছাপের মাধ্যমে খণ্ডিত মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। নিহতের নাম আশরাফুল হক (৪২), বাবার নাম মো. আব্দুর রশীদ ও মায়ের নাম এছরা বেগম। তার বাড়ি রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর নয়াপাড়া গ্রামে।