এসএসসি ফলাফল ২০২৪

সিলেটের সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে জিপিএ-৫ কম

সিলেট বোর্ডে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হারের সাথে কমছে জিপিএ ৫। দেশের ৯টি সাধারণ বোর্ডের থেকে পিছিয়ে পড়েছে সিলেট শিক্ষাবোর্ড। সদ্য প্রকাশিত ফলাফলে তা স্পষ্ট। এর মধ্যে কিছু সরকারি বিদ্যালয়ে পাশের হার বেসরকারি স্কুলের চেয়েও কম। সিলেট জেলার ১৩টি উপজেলায় ৩৯০টি বিদ্যালয় রয়েছে এর মধ্যে সরকারি বিদ্যালয় আছে ১৬টি। এসব সরকারি বিদ্যালয়ের মধ্যে পাশের হার ৮০ দশমিক ৯, যেখানে জেলায় পাশের হার ৭৪ দশমিক ০৭। জেলায় জিপিএ-৫ এর সংখ্যা ২৫৭৭টি, এর মধ্যে সরকারি বিদ্যালয়ে জিপিএ-৫ এসেছে ৫৮৬টি, জিপিএ-৫ এর হার ২২ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে পড়ালেখার মান খুবই খারাপ, বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে যে বিদ্যালয় আছে সেগুলো। বিদ্যালয়গুলোতে নিয়মিত পাঠদান করা হয়না, তাছাড়া বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক সংকট রয়েছে। যার ফলে সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে এরকম ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে।

অভিভাবকরা বলছেন, প্রবাসমুখী হওয়ার প্রবণতা ও মোবাইল ফোনে আসক্তি ফলাফল বিপর্যয়ের বড় কারণ। তারা বলছেন, অনেক বাচ্চারা এখন মোবাইল নিয়ে বেশী ব্যস্ত থাকে, ফলে পড়ালেখায় দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়ছে। তাছাড়া স্কুলগুলোতে শিক্ষক সংকটের পাশাপাশি শিক্ষকদের মেধার সংকট রয়েছে।

শিক্ষকরা বলছেন, শিক্ষার্থীরা নিয়মিক বিদ্যালয়ে আসছে না তাই শ্রেণীকক্ষের পড়া থেকে তারা বাদ পড়ে যাচ্ছে। তাছাড়া অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা মানবিক বিভাগে পড়ছে তাদের অনেকেই পরিবার থেকে সাপোর্ট পাচ্ছে না। শুধুমাত্র মানবিক বিভাগে পড়ার কারণে তাদের পরিবার থেকে যে সাপোর্ট দেওয়া দরকার সেগুলো তারা পাচ্ছে না ফলে তারা ভালো ফলাফল করতে পাড়ছে না। তাছাড়া প্রায় প্রতিটি সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট রয়েছে। সেই সংকট নিরসন হলেই পড়ালেখার মান বৃদ্ধিসহ ফলাফলও ভালো হবে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সিলেট জেলার মধ্যে পাশের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে বিশ্বনাথ উপজেলা, ওই উপজেলায় পাসের হার ৯০ শতাংশ, আর জিপিএ-৫ এর দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে সিলেট সদর উপজেলা, উপজেলায় জিপিএ-৫ এর সংখ্যা ১৮৪৬টি। এদিকে পাসের হার দিক থেকে তলানীতে রয়েছে গোয়াইনঘাট উপজেলা, এ উপজেলায় পাসের হার ৬০ দশমিক ৬৭। জিপিএ-৫ এর দিক থেকে তলানিতে আছে জকিগঞ্জ উপজেলা, উপজেলায় জিপিএ ৫ এর সংখ্যা ১১টি। বিদ্যালয়ের ফলাফল ঘেটে দেখা যায়, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ থানা সদর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগ থেকে পরীক্ষা দিয়েছেন ৬৬ জন এর মধ্যে পাস করেছেন ৩৩ জন, জিপিএ-৫ নেই। ওই বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৫ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৩ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন শিক্ষার্থী। ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কাশিম আলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগ থেকে ১২০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন এর মধ্যে পাস করেছে ৭২ জন, জিপিএ-৫ কেউ পায়নি। আর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৪২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৩০ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন শিক্ষার্থী। গোয়াইনঘাট উপজেলার গোয়াইনঘাট সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগ থেকে ১০৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন এর মধ্যে পাস করেছে ৪২ জন। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৩৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৩৬ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন শিক্ষার্থী ও ব্যাবসা শিক্ষা থেকে ৭ জন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে ৫ জন শিক্ষার্থী। জকিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগ থেকে ১৩৫ জন শিক্ষার্থী পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছেন ৮৭ জন। আর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৪৭ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৪১ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ জন শিক্ষার্থী।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী সিলেট জেলার ১৩টি উপজেলার পাসের হার, সিলেট সদরে পাসের হার ৮২ দশমিক ৬৯, জিপিএ ৫-১৮৪৬, বিশ্বনাথে পাসের হার ৯০, জিপিএ-৫ ১০৫, জকিগঞ্জে পাশের হার ৮২.২৫, জিপিএ-৫ ১১টি, বিয়ানীবাজারে ৬৭ দশমিক ৯০, জিপিএ-৫ ৬১, দক্ষিণ সুরমায় ৮৪ দশমিক ০১, জিপিএ-৫ ৮৭, জৈন্তাপুরে ৬৬ দশমিক ৮৮, জিপিএ-৫ ৩৪, কানাইঘাটে ৭৩ দশমিক ৩৮, জিপিএ-৫ ৫২, গোয়াইনঘাটে ৬৭ দশমিক ৬৬, জিপিএ-৫ ৫৩, বালাগঞ্জে ৭৭ দশমিক ০০, জিপিএ-৫ ১৬, ফেঞ্চুগঞ্জে ৬৫ দশমিক ০০, জিপিএ-৫ ৩৬, গোলাপগঞ্জে ৬৫ দশমিক ০০, জিপিএ-৫ ১১৯, কোম্পানীগঞ্জে ৭৩ দশমিক ৩৮, জিপিএ-৫ ১০৬, ওসমানীনগরে ৬৭ দশমিক ৭৬, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫১ জন শিক্ষার্থী।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, সিলেট জেলার মধ্যে মাধ্যমিক স্কুলের সংখ্যা ৩৯০টি এর মধ্যে সরকারি বিদ্যালয় রয়েছে ১৬ টি। সরকারি ১৬ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সিলেট সদরে ৪ টি, জকিগঞ্জ ২টি ও দক্ষিণ সুরমা, বালাগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, বিশ্বনাথ, বিয়ানীবাজার, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, ওসমানীনগর, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাটে ১টি করে সরকারি বিদ্যালয় রয়েছে।

সিলেট শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, সিলেট বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় মোট ১ লাখ ৯ হাজার ৭৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ৮০ হাজার ৬ জন। এবার বোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫, যা গতবারের তুলনায় ২ দশমিক ৭১ শতাংশ কম। তবে বেড়েছে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৪৭১ জন, গতবার এ সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৪৫২। বছর ৩১ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। শতভাগ পাস করেনি এমন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। সিলেট জেলায় ৪১ হাজার ৭৪ জন শিক্ষার্থী পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৩০ হাজার ৪২৫ জন, পাসের হার ৭৪ দশমিক ০৭, যা সিলেটের ৪ জেলার মধ্যে ২য় অবস্থানে রয়েছে সিলেট, তবে জিপিএ-৫ এর দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে এ জেলা। এ বছর জেলায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ৫৭৭। এর মধ্যে ছাত্র ১২৮৮ ও ছাত্রী ১২৮৯ জন।

গত ৫ বছরের সিলেট বোর্ডের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এবার পাশের হার ৭৩ দশমিক ৩৫, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৪৭১ জন শিক্ষার্থী। ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ১ লক্ষ ৯ হাজার ৫৩২ জন অংশগ্রহণ করে পাশ করেছেন ৮৩ হাজার ৩০৬ জন শিক্ষার্থী, পাশের হার ছিল ৭৬ দশমিক ৬ ও জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৫ হাজার ৪৫২ জন। ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ১ লক্ষ ১৫ হাজার ৩৯১ জন অংশগ্রহণ করে পাশ করেছেন ৯০ হাজার ৯৪৮ জন শিক্ষার্থী, পাশের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৮২ ও জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৭ হাজার ৫৬৫ জন। ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৫৫৩ জন অংশগ্রহণ করে পাশ করেছেন ১ লক্ষ ১৫ হাজার ৭০০ জন শিক্ষার্থী, পাশের হার ছিল ৯৬ দশমিক ৭৮ ও জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৪ হাজার ৮৩৪ জন। ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ১ লক্ষ ১৬ হাজার ১০৪ জন অংশগ্রহণ করে পাশ করেছেন ৯১ হাজার ৪৮০ জন শিক্ষার্থী, পাশের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৭৯ ও জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৪ হাজার ২৬৩ জন।

জকিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জামাল উদ্দিন বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানে ইংরেজি শিক্ষক নেই। আমার বিদ্যালয়ে ২৬ জন শিক্ষক থাকার কথা থাকলে আছে ১২ জন ১৪ জন শিক্ষকের পদই খালি রয়েছে। এটি একটি বড় কারণ। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের মোবাইল আসক্তির ফলে ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিভাবককে আরো সচেতন হতে হবে।

গোয়াইনঘাট সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি অনেক কম থাকে। তাদের বিদ্যালয় মুখী প্রবণতা অনেক কম এ বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে, তাদের ছেলে-মেয়েদের নিয়মিত বিদ্যালয়ে পাঠাতে হবে। আর বিদ্যালয়ে ৯ জন শিক্ষক রয়েছেন, বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ের কোন শিক্ষক না থাকায় পাঠদানে সমস্যা হচ্ছে, এখানে আরো ৮ জন শিক্ষকের প্রয়োজন রয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ থানা সদর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সংকর দাস বলেন, শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসেনা এটি একটি বড় কারণ। অভিভাবকদের নজরদারিও কম। আমরা শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের বিদ্যালয়মুখী করার চেষ্টা করছি। এ বছর গণিত বিষয়ে আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভালো করতে পারেনি তার প্রভাব পড়েছে। আর বিদ্যালয়ে বর্তমানে ১০ জন শিক্ষক রয়েছেন। ইংরেজি, ধর্মীয় শিক্ষকের সংকট রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, নীতিমালা অনুযায়ী কোনো একক শ্রেণিতে ৪০ জনের বেশি ছাত্র ভর্তি করানো যাবে না। তবে তা মানছে না অনেক প্রতিষ্ঠান ফলে তাদের পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, কিছু বিদ্যালয় আছে যেগুলো নতুন সরকারি হয়েছে সেগুলোতে ফলাফল খারাপ হয়েছে। সেই বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান সন্তোষজনক না। আমরা তাঁদের সাথে বসব। যেভাবে লেখাপড়ার মান বৃদ্ধি করা যায় সেই ব্যবস্থা করব। শিক্ষক সংকট আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু এমপিওভুক্ত বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট রয়েছে। তবে আমরা এটা নিয়েও কাজ করছি।

সিলেট বিভাগীয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা কার্যালয়ের পরিচালক প্রফেসর মো. আব্দুল মান্নান খান বলেন, পুরাতন সরকারি বিদ্যালয় যেগুলো আছে সেগুলোতে পাসের হার ভালো আছে। তবে যেগুলো নতুন হয়েছে সেগুলোতে ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে। সদ্য সরকারি হওয়া বিদ্যালয়গুলো কিছু শিক্ষক সংকট রয়েছে যেগুলো সরকার নিয়োগ না দিলে সেখানে শিক্ষক দেওয়া যাচ্ছেনা। আর ফলাফল বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ গার্জিয়ানের গাফিলতি। একটা ছেলে স্কুলে কত সময় থাকে? ৫-৬ ঘণ্টা, এরপর সে বাসায় যায় এখন বাসায় গিয়ে সে কি করছে সেটা তার গার্জিয়ানকে দেখতে হবে। তাছাড়া সিলেটের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের ধারণা যে এত পড়ে কি হবে কষ্ট করে এসএসসি বা এইসএসসি পাশ করে তারপর বিদেশ চলে যাব। এটি আরেকটি কারণ হতে পারে। তবে আমরা পড়ালেখার মান আরো উন্নত
করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।

সিলেট শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ চন্দ্র পাল বলেন, এ বছর মানবিক বিভাগে পাশের হার এর মূল কারণ শিক্ষার্থীদের গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে ভীতি এর প্রভাব ফলাফলেও পড়েছে। এই দুই বিষয়ে শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করতে পারেনি।

তিনি বলেন, সিলেট অঞ্চলে ইংরেজি, গণিত, গণিত বিষয়ের শিক্ষকদের অভাব রয়েছে। এ অঞ্চলে শিক্ষক সংকট রয়েছ। এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে যে শিক্ষকরা নিয়োগ দেওয়া হয় তারা অন্য অন্য অঞ্চল থেকে আসেন এরপর তাদের লক্ষ্য থাকে যে তারা অন্যত্র কোথাও যেতে পারে কিনা। এসব কারণে এ অঞ্চলে শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে। তিনি আরো বলেন, ভালো ফলাফলের জন্য অভ্যন্তরীণ যে পরীক্ষা হয় সেগুলো আরো কড়াকড়ি করতে হবে। তাহলে গুণগত মান বাড়বে। শিক্ষকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে তাহলে এই সংকট কাটিয়ে উঠা সম্ভব।