আগরতলায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ মোড় থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেয়। মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা, ‘দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা, ঢাকা’, ‘হাইকমিশনে হামলা কেন? দিল্লি তুই জবাব দে’, ‘কসাই মোদীর বিরুদ্ধে, লড়াই করো একসাথে’, ‘বাংলাদেশে হামলা হলে, সেভেন সিস্টার্স থাকবে না’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরো দেবো রক্ত’, ‘ত্রিপুরা না কুমিল্লা? কুমিল্লা, কুমিল্লা’, ‘হাইকোর্ট না রাজপথ? রাজপথ, রাজপথ’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন, নিপাত যাক’, ‘গোলামী না আজাদী? আজাদী, আজাদী’, এবং ‘ভারতীয় আগ্রাসন, চলবে না, চলবে না’, এসব শ্লোগান দিতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. আবির বলেন, দিল্লি দীর্ঘ ১৫ বছর বাংলাদেশকে তাদের অধীনস্ত করে রেখেছিল। তারা প্রতিবেশীর আচরণ ভুলে প্রভুর আচরণ করতে চায়। বাংলার মানুষ কখনো দিল্লির আধিপত্যবাদকে মেনে নেয়নি, নেবে না। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের পরবর্তী বাংলাদেশে দিল্লির প্রভুত্ব কখনো মেনে নেওয়া হবে না। বাংলাদেশকে যদি দিল্লি মনে করে হায়দ্রাবাদের মতো করে আয়ত্ত করে নেবে, আমাদের স্বাধীনতাকে লুটে নেবে, তাহলে বাংলার স্বাধীনতাকামী জনগণ দিল্লি অভিমুখে লংমার্চ করতে দ্বিধা করবে না। তারা আজকে বাংলাদেশের হাইকমিশনে হামলা করে আমাদের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত হেনেছে। দিল্লির বিরুদ্ধে বাংলার জনগণ এক ও অভিন্ন। আমাদের সংগ্রাম চলবে।
উল্লেখ্য, সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিপীড়নের অভিযোগ এবং সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আগরতলায় বাংলাদেশ অ্যাসিস্ট্যান্ট হাই কমিশনে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে তা ছিঁড়া আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটে।