ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের ৫দিন উৎসব ছুটি দাবি

চৈত্র সংক্রান্তি ও নববর্ষকে ঘিরে ১২ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত ৫ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাৎসরিক উৎসবের ছুটি দাবি করেছেন ভিন্ন ভাষাভাষী জাতিগোষ্ঠির শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১০ মার্চ) ‘১২টি আদিবাসী ছাত্র সংগঠন’র ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এই দাবি জানানো হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সমতলের ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব চাংক্রান, সাংগ্রাই, সাংক্রাই, বৈসু, বিষু, বিহু, সাংগ্রাইং, থাংগ্রেন, বিঝু উপলক্ষে তারা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে ওই ৫দিন ছুটি চান।

তাদের আরও দাবি, উৎসবের ওই সময়ে এসএসসি ও এইচএসসিসহ কোন পাবলিক পরীক্ষা না রাখা, উৎসবের সময় দেশের সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, আধা—স্বায়ত্বশাসিতসহ সকল প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ‘আদিবাসী’ কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং দেশের বিভিন্ন শিল্প কারখানায় কর্মরত ‘আদিবাসী’ শ্রমজীবীর ছুটি প্রদান করা।

সংবাদ সম্মেলনে বিএমএসসি ঢাকা মহানগরের নুমংপ্রু মারমার সঞ্চালনায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অনন্ত তঞ্চঙ্গ্যা। এছাড়া পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) রুমেন চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের শান্তি দেবী তঞ্চঙ্গ্যা, পাহাড়ি নেতা পায়া ম্রো, উটিংমং চাক, কর্ণ জ্যোতি ত্রিপুরা, স্নেহলাল তঞ্চঙ্গ্যা, লাললিং বম, সাংখেঅং খুমী, রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলন শেষে প্রধান উপদেষ্টার কাছে একই দাবিতে স্মারকলিপি দেয়া হয়।