ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘আদিবাসী’ গ্রাফিতি বাতিলের প্রতিবাদ

‘বাংলাদেশে বসবাসরত ৫০ টির বেশি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর আত্মপরিচয়কে নিশ্চিহ্ন করে দিতে উগ্র সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে অপতৎপরতা চালাচ্ছে।’

আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৯ পিএম

পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দ সম্বলিত গ্রাফিতি বাতিলের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ও হিল ইউমেন্স ফেডারেশন (এইচডাব্লিউএফ)। পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামের সংগঠন দুটি ‘পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসীদের সঠিক ইতিহাস  ও পরিচিতি’ তুলে ধরার দাবি জানিয়েছে।

গত ১২ জানুয়ারি নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দ সম্বলিত গ্রাফিতি বাতিল করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি নামক উগ্র সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী সংগঠনের সদস্যদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এনসিটিবি অনলাইন ভার্সনের পাঠ্যপুস্তক থেকে আদিবাসী শব্দ সম্বলিত গ্রাফিতি বাতিল করে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে বসবাসরত ৫০ টির বেশি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর আত্মপরিচয়কে নিশ্চিহ্ন করে দিতে উগ্র সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে অপতৎপরতা চালাচ্ছে।’

এতে বলা হয়, ‘সর্বস্তরের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে আদিবাসীদেরকে ‘উপজাতি, জাতিসত্ত্বা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়’ নামে অভিহিত করেছিল এবং বিভিন্ন সময়ে ‘আদিবাসী’ শব্দ ব্যবহার না করতে নির্দেশনা জারি করেছিল।’ 

বিবৃতিতে, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের সাম্প্রদায়িক এ সিদ্ধান্ত বাতিলপূর্বক আদিবাসীদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে তাদের সঠিক ইতিহাস ও পরিচিতি তুলে ধরাসহ রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে আদিবাসীদের অংশগ্রহণ’ নিশ্চিতে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানানো হয়।

 

আরও পড়ুন