বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ৪৬তম লিখিত পরীক্ষা ও ৪৭তম প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরীক্ষার্থীরা। ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রায় ১ বছর হতে চললেও এখনো লিখিত পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ হয়নি। আবার ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার প্রিলিমিনারি টেস্ট কবে অনুষ্ঠিত হবে সেই সময়ও অনির্ধারিত। এ পরিস্থিতিতে পরীক্ষা দুটি কাছাকাছি সময়ে অনুষ্ঠিত হওয়ারও আশঙ্কা করছেন পরীক্ষার্থীরা। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তারা।
পরীক্ষার্থীরা জানান, ৪৬তম লিখিত পরীক্ষা ও ৪৭তম প্রিলিমিনারি পরীক্ষা কবে হবে তা অজানা। এরমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চাকরির প্রস্তুতি সংক্রান্ত বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপে পরীক্ষা দুটির বিষয়ে বিভিন্ন তারিখ জানা যাচ্ছে। ফলে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। ফেসবুকে পরীক্ষা দুটির বিষয়ে বিভিন্ন দাবিও তুলে ধরছেন তারা।
তাদের দাবি, পিএসসি তাদের ইচ্ছে মতো আচমকা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। অনন্ত দুই মাস আগে প্রতিটি পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করতে হবে যেন পরীক্ষার্থীরা মানসিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণের সুযোগ পায়।
এ বিষয়ে ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার্থী ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষা কবে হবে তা আমরা এখনো জানি না। বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে জানলাম পরীক্ষা নাকি এপ্রিল মাসে হবে। এটা আমরা পরীক্ষার্থীরা মেনে নিতে পারিনি। তাই আমরা ৫০ এর অধিক পরীক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিকভাবে পিএসসিতে যাই এবং কিছু দাবি জানিয়ে এসেছি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শরিফুল হাসান জানান, ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা যখন অনুষ্ঠিত হবে তার অনন্ত দুই মাস আগে রুটিন প্রকাশ করতে হবে এবং ৪৬তম লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার দুই মাস পর ৪৭তম প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নিতে হবে যাতে পরীক্ষার্থীরা প্রিলি প্রস্তুতি নিতে পারে। এর বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত আমরা মানবো না।
শুধু পরীক্ষার্থীরা নন, বিসিএস পরীক্ষার সময়সূচি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন রাজনৈতিক নেতারাও। জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব মো. মিরাজ মিয়া বৃহস্পতিবার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী পিএসসিকে আরও শিক্ষার্থীবান্ধব হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ৪৩ বিসিএসে বাদ পড়াদের পুনঃভেরিফিকেশন সম্পন্ন করে ঈদের আগেই গেজেট দিয়ে দিন। অপরাধী নয়, সন্ত্রাসী নয় এমন ছাড়া বাকিদের গেজেট দিয়ে দিন। ৪৪ বিসিএসের ভাইভা এভাবে কচ্ছপ গতিতে না নিয়ে আরেকটু ফাস্ট নিতে হবে। একসাথে অনেকগুলো বিসিএসের জটলা পাকিয়ে ফেলবেন না। ৪৫ এর লিখিত রেজাল্ট দ্রুত পাবলিশ করার ব্যবস্থা করুন। এক বিসিএসের লিখিত নেওয়ার আগে পূর্বের বিসিএসের লিখিত ফল দিয়ে দিতে হবে।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, ৪৬ লিখিত নেওয়ার উপযুক্ত সময় মে মাসের মাঝামাঝি বা শেষ সপ্তাহে চূড়ান্ত করুন। হুটহাট সিদ্ধান্ত নিয়ে শিক্ষার্থীদের মানষিক প্রস্তুতির ব্যাঘাত ঘটে এমন কিছু করবেন না। ৪৭ এর প্রিলি জুন/জুলাইয়ে নেওয়ার আগে ৪৪ এর ভাইভা সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করুন, ৪৫ এর লিখিত রেজাল্ট দিয়ে দিন। রেজাল্ট নিয়ে খবর নাই, শুধু হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে এক্সাম আর এক্সাম দিয়ে লাভ নেই।