এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা

খাতা মূল্যায়নে শিক্ষকদের জন্য সতর্ক বার্তা, হতে পারে জেল

এসএসসি ও এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে কঠোর নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। পাবলিক পরীক্ষার খাতা পরিবারের সদস্য ও অন্যান্যদের দিয়ে মূল্যায়ন করলে চরম শাস্তির কথা জানিয়ে সতর্ক করেছে শিক্ষা বোর্ড। এই অপরাধে দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছে বোর্ড।

সম্প্রতি আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দারের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বোর্ড সূত্র জানায়, মূলত এইচএসসি পরীক্ষার খাতা বিভিন্ন পরীক্ষকের কাছে মূল্যায়নের জন্য এখন পাঠানো হচ্ছে। তার মধ্যেই এ ধরনের বিভিন্ন অভিযোগ গোপন সূত্র থেকে আসায় সতর্ক করে চিঠি দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড।

চিঠিতে বলা হয়েছে, শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার উত্তরপত্র একটি গোপনীয় বিষয়। এটি প্রধান পরীক্ষক বা পরীক্ষকদের কাছে আমানত। পরীক্ষার উত্তরপত্র প্রধান পরীক্ষক বা পরীক্ষক ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি, শিক্ষার্থী বা পরিবারের অন্য কোনো সদস্যকে (স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, ভাই-বোন) দিয়ে বৃত্ত ভরাট বা পূরণ করানো বা মূল্যায়ন করানো যাবে না।

এতে আরও বলা হয়, এ ধরনের কাজ পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত ১৯৮০ সালের ৪২ নম্বর আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ অপরাধ প্রমাণিত হলে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড কিংবা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। সব পরীক্ষককে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।