চবিতে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রশাসনের ১০ সিদ্ধান্ত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, প্রক্টরসহ অসংখ্য শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে এখনও ক্যাম্পাসজুড়ে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। সংঘর্ষের ঘটনায় ১০টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে চবি উপাচার্যের সভাকক্ষে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

সিদ্ধান্তগুলো হলো- আহত শিক্ষার্থীদের সব ব্যয়ভার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহন করবে (এখনো পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ সব ব্যায়ভার বহন করছে); শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা মনিটর করার জন্য ৫ শিক্ষকের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়; শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য চবি সংলগ্ন একটি মডেল থানা স্থাপনের বিষয়ে সরকারকে অনুরোধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়; রেলক্রসিং এলাকায় একটি পুলিশবক্স স্থাপনের ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়; আজকের (সোমবার) মধ্যেই ওই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ সময়, সংঘটিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পুরো পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের করণীয় ঠিক করার জন্য আগামীকাল (মঙ্গলবার) বিকেল ৩টায় জরুরি সিন্ডিকেট সভাও ডেকেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং গেট সংলগ্ন জোবরা এলাকার বাড়িওয়ালাদের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে নিরাপত্তা বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত স্ট্রাইকিং ফোর্স প্রত্যাহার না করার অনুরোধ করা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি হটলাইন সার্ভিস চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

এর আগে, বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধি ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সম্প্রীতি কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন।