পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে উত্তাল রাবি, ছাত্র-শিক্ষক ধস্তাধস্তি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে উত্তাল অবস্থা বিরাজ করছে। শুক্রবার (১৯সেপ্টেম্বর) রাত থেকে আমরণ অনশনে বসেছেন সাতজন শিক্ষার্থী। এতে অসুস্থ হন দুজন।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনের বারান্দায় আন্দোলনকারীরা উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল ইসলাম মাসউদ, প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান ও জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদারকে ঘিরে ফেলেন। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এর আগে দুপুরে শিক্ষার্থীরা উপ-উপাচার্যদের বাসভবনে তালা লাগিয়ে দেন। বাসায় প্রবেশ করতে না পেরে উপ-উপাচার্য ও প্রক্টর জুবেরী ভবনের দিকে রওনা হলে আন্দোলনকারীরা তাদের পেছনে স্লোগান দিতে দিতে আসেন।

এদিকে জুবেরী ভবনে পৌঁছানোর পর আন্দোলনকারীদের সঙ্গে এক শিক্ষকের ধাক্কাধাক্কিতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এতে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন খান, এক উপ-রেজিস্ট্রার, রাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আল শাহরিয়ার শুভ ও সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মারসহ অন্তত সাত-আটজন আহত হন। 

হাতাহাতির একপর্যায়ে উপ-উপাচার্য ভবনের দ্বিতীয় তলায় আশ্রয় নেন। পরে আন্দোলনকারীরা সেখানেও গিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এসময় কিছু শিক্ষার্থী জানালায় ভাঙচুর চালায়।

সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, একটি মীমাংসিত ইস্যু নিয়ে প্রশাসনের বর্তমান ভঙ্গি আমরা গভীরভাবে নিন্দা জানাই। শান্তিপূর্ণ অনশনে বসেছি, অথচ প্রশাসন কোনো সদুত্তর দেয়নি। আজ আমাদের ওপর যে হামলা চালানো হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।

রাবি শাখা ইসলামী ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, রাকসু নির্বাচন সামনে রেখে পোষ্য কোটা ইস্যুকে সামনে এনে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমরা এই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

এছাড়াও বাম ছাত্রসংগঠন ও রাকসু পদপ্রার্থীদের অনেকেও আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে জুবেরী ভবনে যোগ দেন।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন বলেন, পোষ্য কোটার বিষয়টি আমার একার সিদ্ধান্ত নয়, এটি প্রশাসনিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করতে হবে। কিন্তু আমাকে বাসায় যেতে না দেওয়া, খেতেও না দেওয়া- এ ধরনের আন্দোলন আমি আগে দেখিনি।