রাবিতে কর্মবিরতি

২৫ সেপ্টেম্বরই রাকসু নির্বাচন: প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনার বিচার চেয়ে এই কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা। নির্বাচনের মাত্র চার দিন আগে এমন কর্মসূচির কারণে রাকসু নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিলেও কর্তৃপক্ষ বলছে, নির্ধারিত সময়েই ভোট হবে।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তেমন প্রচারণা লক্ষ্য করা যায়নি। হাতে গোনা কয়েকজন প্রার্থীকে লিফলেট বিতরণ করতে দেখা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স সমিতির সভাপতি মুক্তার হোসেন বলেন, ‘রাকসু নির্বাচনে আমাদের আন্দোলনের কোনো প্রভাব পড়বে না। আমরা রাকসুকে কর্মসূচির বাইরে রেখেছি। আমাদের দাবি হলো, কিছু ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসী উপ-উপাচার্যকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে, এমনকি বাসায় ঢুকতেও দেওয়া হয়নি। এদেরকে চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে শাস্তি দিতে হবে।’

রাকসু প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. সেতাউর রহমান বলেন, ‘গতকালের ঘটনায় আমাদের নির্বাচনি কার্যক্রম ব্যাহত হয়নি। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সব ধরনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। রাকসু বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা, তাই আমরা সব পক্ষের সহযোগিতা চাই। উপাচার্য স্যারও আমাদের সব কার্যক্রম চালিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন। ২৫ তারিখেই রাকসু নির্বাচন হবে।’

তিনি আরও জানান, শিক্ষক–কর্মকর্তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র শনিবারের ঘটনার প্রতিবাদেই আজকের কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে এবং জরুরি সেবা তাদের আন্দোলনের বাইরে রাখা হয়েছে। যেহেতু ২৫ তারিখেই রাকসু নির্বাচন, তাই এটিকে বর্তমানে জরুরি সেবার অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, বলেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা।