চাকসু নির্বাচন: ছাত্রশিবিরের ইশতেহার ঘোষণা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজেদের ইশতেহার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। 

বুধবার (৮ অক্টোবর) বুদ্ধিজীবী চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রশিবির শিক্ষার্থীদের অধিকার, সুষ্ঠু নির্বাচন ও ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেন। এ সময় তারা ৩৩ দফা ইশতেহারের ঘোষণা করেন।

ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৩৩ দফা ইশতেহারে গুরুত্ব পেয়েছে আবাসন সংকট সমাধান, যাতায়াত ব্যবস্থা আরও উন্নতিকরণ, পরীক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের ব্যবস্থা করা, নিরাপদ ও গ্রিন ক্যাম্পাস তৈরির অঙ্গীকার, সেশনজট সমস্যা নিরসন, অটোমেশন, শিক্ষা গবেষণা ও ক্যারিয়ার, নারীবান্ধব ক্যাম্পাস তৈরি ও ওয়েলফেয়ার কার্যক্রম পরিচালনা করা। 

ছাত্রশিবিরের দাবি নির্বাচিত হলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাস্তব সমস্যা সমাধান ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করাই তাদের ইশতেহারের মূল লক্ষ্য।

ইসলামী ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন রনি বলেন, ‘আমাদের ক্যাম্পাসে বহু জটিল সমস্যা রয়েছে। যেগুলো এক বছরের মধ্যে পুরোপুরি সমাধান করা সম্ভব নয়। তবে আমরা এসব সমস্যার সমাধানে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে কাজ চালিয়ে যেতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সব সমস্যার একবারে সমাধান হবেনা, আমরা ধাপে ধাপে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ গ্রহণ করব এবং সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কার্যক্রমে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করব। আমাদের লক্ষ্য একটি সুশৃঙ্খল, জ্ঞানভিত্তিক ও সহিংসতামুক্ত ক্যাম্পাস গঠন। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’

তিনি বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসে অনেক সমস্যা রয়েছে। সমাধানে আমরা এই ৩৩ দফায় নিয়ে এসেছি। এই সমস্যাগুলো এক বছরে সমাধান সম্ভব নয়। সব সমস্যার সমাধান করতে না পারলেও আমরা সমস্যার সমাধানের ধারাবাহিকতা আমরা চাই একটি সুশৃঙ্খল, জ্ঞানভিত্তিক ও সহিংসতামুক্ত ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের অগ্রাধিকার।

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলে ভিপি পদে ইতিহাস বিভাগের ইব্রাহীম হোসেন রনি, জিএস পদে ইতিহাস বিভাগের সাঈদ বিন হাবিব এবং এজিএস পদে ফাইন্যান্স বিভাগের সাজ্জাদ হোসাইন মুন্না প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

এদিকে আগামী বুধবার (১৫ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চাকসু নির্বাচন। এদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত পাঁচটি ভবনে ১৫টি হলের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সিসি ক্যামেরার আওতাধীন থাকবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।