চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে নির্বাচিত নির্বাহী সদস্য আকাশ দাশকে ঘিরে চলা বিতর্কের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হলো নবনির্বাচিতদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। তবে ধর্ষণ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে তীব্র সমালোচনার মুখে থাকা আকাশ দাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি।
ফলে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সমাজবিজ্ঞান অনুষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত শপথে একমাত্র তিনিই অংশ নেননি।
এদিকে, আকাশের ওই মন্তব্যের প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। নবনির্বাচিত অনেক প্রতিনিধি আকাশের সঙ্গে একই মঞ্চে শপথ নিতে অস্বীকৃতি জানান। এর মধ্যেই আকাশের অনুপস্থিতিতে বাকিরা শপথ নিলেও অনুষ্ঠানের শেষ দিকে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, চাকসুর পরিচালক অধ্যাপক জাহেদুর রহমান চৌধুরী এক ফেসবুক পোস্টে ভোটারদের ‘ভেড়ার পাল’ বলে মন্তব্য করায় শিক্ষার্থী ও প্রতিনিধিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। তার উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে শপথের অনুষ্ঠানে বাকবিতণ্ডা ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগে আকাশ দাশ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে লিখেছিলেন— “ধর্ষণে ছেলের দোষ যদি ৭০ ভাগ থাকে, মেয়েরও ৩০ ভাগ দোষ আছে।”
এই মন্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। শিক্ষার্থীরা আকাশের বক্তব্যকে নারীবিদ্বেষী ও অসভ্য মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ বলে উল্লেখ করেন। এ ঘটনায় আকাশ দাশের সাথে শপথ নিতে অসম্মতি জানান কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের বহু নির্বাচিত প্রতিনিধি।
গতকাল আলাওল হল সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত নূরনবী হাসান ফেসবুকে লেখেন, কাল যদি আকাশ দাশের মতো বিকৃত মানসিকতার মানুষের সঙ্গে শপথ নিতে হয়, আমি সে শপথ প্রত্যাখ্যান করব।
তার সঙ্গে একমত পোষণ করেন হলটির ভিপি ও আরও কয়েকজন নবনির্বাচিত নেতা। শাহজালাল হল সংসদের এজিএস ইমতিয়াজ জাবেদও একই ঘোষণা দেন।