সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের বিধিমালায় পরিবর্তন এনেছে সরকার। রোববার (৩ নভেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন জারি করে এই সংশোধনের কথা জানায়।
নতুন প্রজ্ঞাপনে বিধিমালার ৭ নম্বর বিধির উপবিধি (২)-এর দফা (খ) সংশোধন করা হয়েছে। আগে যেখানে লেখা ছিল ‘অন্যান্য বিষয়ে’, সেখানে এখন থেকে থাকবে ‘বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে অন্যূন’। এর মাধ্যমে বিজ্ঞান ও অন্যান্য বিষয়ে স্নাতকদের নিয়োগের যোগ্যতা আরও স্পষ্ট করা হয়েছে।
২০২৫ সালের ২৮ আগস্ট প্রকাশিত পুরোনো বিধিমালায় বলা হয়েছিল, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মোট ৯৩ শতাংশ পদ মেধাভিত্তিকভাবে পূরণ করা হবে এর মধ্যে ২০ শতাংশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক এবং ৮০ শতাংশ অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক প্রার্থীদের জন্য নির্ধারিত। নতুন সংশোধনীতে ওই ৮০ শতাংশ অংশের বর্ণনা পরিবর্তিত হয়েছে।
এছাড়া তফসিল-১ হালনাগাদ করা হয়েছে, যেখানে নিয়োগের পদ্ধতি ও শিক্ষাগত যোগ্যতার বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে। সংশোধিত বিধিমালা অনুযায়ী, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা বহাল থাকবে। নিয়োগ কার্যক্রম উপজেলা বা থানাভিত্তিকভাবে সম্পন্ন করা হবে।
বিধিমালায় আরও বলা হয়েছে, নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নির্ধারিত শিক্ষানবিশকাল শেষে কর্মদক্ষতা ও আচরণ সন্তোষজনক হলে চাকরি স্থায়ী করা হবে। অসন্তোষজনক পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের চাকরি বাতিল বা পূর্বের পদে ফেরত পাঠানোর ক্ষমতা থাকবে।
নতুন বিধান অনুযায়ী, চার বছরের মধ্যে মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ৫০ বছর বয়সে পদোন্নতি বা স্থায়ী হওয়ার যোগ্য ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে পরীক্ষার ও প্রশিক্ষণের শর্ত শিথিল করা যেতে পারে।
এছাড়া, নতুন বিধিমালা কার্যকর হওয়ার পর ১২তম গ্রেডে কর্মরত প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষকদের ১৮ মাসের মধ্যে মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রশিক্ষণ না নিলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে নিম্ন বেতন গ্রেডে নামিয়ে দেওয়া হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।