ঢাকার সাত কলেজের শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির নামে সাত কলেজে নতুন শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও ক্লাস শুরু করার প্রস্তাবিত বিজ্ঞপ্তিটি ‘আইনসিদ্ধ নয়’ দাবি করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এসব কলেজের শিক্ষকরা। এই জটিল পরিস্থিতিতে তারা মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিনের পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলমান পরীক্ষাগুলো এই কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা কলেজ মিলনায়তনে এক জরুরি সভার মাধ্যমে সাত কলেজের শিক্ষকরা এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানান, ‘প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি (বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন) বা সমকক্ষ প্রতিষ্ঠানের অন্তর্বর্তী প্রশাসক ১৬ নভেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। সেই বিজ্ঞপ্তিতে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক পর্যায়ের ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া ১৭ থেকে ২০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করে ২৩ নভেম্বরের মধ্যে ক্লাস শুরু করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

শিক্ষকদের অভিযোগ, প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হওয়ার আগেই এই ধরনের বিজ্ঞপ্তি আইনগত জটিলতা তৈরি করতে পারে।

তারা বলছেন, ‘আমরা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে বিধিবদ্ধভাবে সরকারি কলেজে শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। তাই প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিশ্চায়ন ও ক্লাস শুরুর প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ নেই।’

শিক্ষকরা দ্রুততম সময়ে সাত কলেজের স্বতন্ত্র কাঠামো অক্ষুণ্ন রেখে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারি করে সমস্যার সন্তোষজনক সমাধানের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন।

উল্লেখ্য, সরকারি সাতটি কলেজ হলো- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ এবং তিতুমীর কলেজ। বর্তমানে ইডেন মহিলা কলেজ ও তিতুমীর কলেজে কেবল স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পড়ানো হয়, আর বাকি পাঁচটি কলেজে স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে।