‘ভক্তদের ভালোবাসা ও সমর্থনে আমি আজকের শাবনূর’

নব্বই দশকের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনূর। দীর্ঘ ৩১ বছরের ক্যারিয়ারে অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন এই নায়িকা। 

১৯৯৩ সালের ১৫ অক্টোবর নির্মাতা এহতেশাম পরিচালিত ‘চাঁদনী রাতে’ ছবির মাধ্যমে রূপালী পর্দায় অভিষেক করেন। সম্প্রতি দেশে ফিরে আরাফাত হোসাইনের ‘রঙ্গনা’ ও চয়নিকা চৌধুরীর ‘মাতাল হাওয়া’ নামের দুটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হন। বিরতি ভাঙার এই খবরে ভক্তরাও ভীষণ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

গত হওয়া তিন দশক সম্পর্কে শাবনূর বলেন, ‘আল্লাহর রহমত ও সবার দোয়ায় চলচ্চিত্রে এখনও যথেষ্ট সম্মান নিয়েই বেঁচে আছি। আমার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারের দীর্ঘ পথচলায় এই অঙ্গনের সাথে জড়িত সকল প্রযোজক, পরিচালক, সহশিল্পী, চিত্রনাট্যকার, নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী, ক্যামেরাম্যান, কলাকুশলীসহ সবার কাছে আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ ও ঋণী। বিশেষ করে আমার ছবির দর্শক ও অগণিত ভক্তদের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ও সমর্থনে আমি আজকের শাবনূর।’

শুরু ও বর্তমান সময়কে নিয়ে এ তারকা বলেন, ‘নামজাদা চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রয়াত এহতেশাম দাদুর ‘চাঁদনী রাতে’ ছবির মাধ্যমে ১৯৯৩ সালের ১৫ই অক্টোবর আমার চলচ্চিত্র যাত্রা শুরু হয়েছিল। সবার ভালোবাসায় আজ ৩১ বছর পূর্ণ হলো, আলহামদুলিল্লাহ।’

প্রসঙ্গত, সালমান শাহের সঙ্গে জুটি গড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন সময়ের নন্দিত এই নায়িকা। এরপর তার সিনেমা সুপার হিট হতে থাকে। রিয়াজ, শাকিল খান, ফেরদৌস আহমেদ ও শাকিব খান সঙ্গেও জুটি বেঁধে কখনো পিছিয়ে পড়তে হয়নি তাকে। শাবনূরের  উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো- ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘প্রেমের তাজমহল’, ‘আমার প্রাণের স্বামী’, ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’, ‘ভালোবাসি তোমাকে’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘বউ শাশুড়ির যুদ্ধ’, ‘হৃদয়ের বন্ধন’, ‘মোল্লা বাড়ীর বউ’ ।