ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পূর্ণিমা। বলতে গেলে শৈশবে অভিনয়ের প্রতি এক রকম ঝোঁক থেকেই নাম লেখান চলচ্চিত্রে। ‘এ জীবন তোমার আমার’ সিনেমা দিয়ে ১৯৯৮ সালে ঢালিউডে যাত্রা শুরু করেছিলেন তিনি। আজ ১১ জুলাই তার জন্মদিন। চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে জন্ম নেওয়া পূর্ণিমা মাত্র ১৫ বছর বয়সে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। তখন স্কুলও শেষ হয়নি তার; অভিনয়ে আসেন মায়ের উৎসাহেই।
মা তাগিদ না দিলে কখনো অভিনয়ে আসা হতো না পূর্ণিমার। এর জন্য অভিনয় প্রসঙ্গ এলে মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বরাবরই। তিনি বলেন, ‘আমি আজীবন আমার মায়ের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব। তিনি তাগিদ না দিলে আমি কখনো অভিনয়ে আসতাম না, পূর্ণিমা হয়ে উঠতাম না। আজ আমি যে, মা-ই তার মূল কারিগর।’
প্রথম সিনেমায় রিয়াজের বিপরীতে অভিনয় করেই আলোচনায় আসেন তিনি। এরপর পেরিয়ে গেছে ২৭ বছর। এই দীর্ঘ ক্যারিয়ারে পূর্ণিমা উপহার দিয়েছেন অসংখ্য সিনেমা। সবচেয়ে বেশি জুটি বেঁধেছেন নায়ক রিয়াজের সঙ্গে। পাশাপাশি কাজ করেছেন মান্না, রুবেল, ফেরদৌস, শাকিব খান, আরিফিন শুভ, আমিন খানসহ প্রায় সব জনপ্রিয় নায়কের বিপরীতে।
শুধু বড় পর্দায় নয়, ছোট পর্দায়ও কাজ করেছেন পূর্ণিমা। জাহিদ হাসান পরিচালিত নাটক ‘লাল নীল বেগুনী’তে অভিনয় করে প্রশংসিত হন। উপস্থাপনাতেও পেয়েছেন জনপ্রিয়তা। রিয়্যালিটি শো- এর বিচারকও হয়েছেন, করছেন নিয়মিত বিজ্ঞাপন, মডেলিংও।
২৭ বছরের অভিনয়জীবনে পূর্ণিমার সবচেয়ে সুপারহিট সিনেমা ছিল ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনার ‘মনের মাঝে তুমি’ ২০০৩ সালে মুক্তির পর চারদিকে হইচই ফেলে দেন পূর্ণিমা। এই নায়িকাকে সর্বশেষ বড় পর্দায় দেখা গেছে ছটকু আহমেদ পরিচালিত ‘আহারে জীবন’ সিনেমায়। এদিকে মুক্তির অপেক্ষায় আছে নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূল পরিচালিত ‘জ্যাম’ ও ‘গাঙচিল’। এই দুটি সিনেমার কাজ শুরু হয়েছিল পাঁচ বছর আগে, তবে এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি।
ব্যক্তিজীবনে পূর্ণিমার প্রথম বিয়ে হয়েছিল ২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর, আহমেদ জামাল ফাহাদের সঙ্গে। ২০১৪ সালে তিনি কন্যাসন্তানের মা হন। এরপর ২০২২ সালে করেন দ্বিতীয় বিয়ে।