মাত্র ৬ বছর বয়সে বলিউড তারকা সালমান খানের সঙ্গে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু করেছিলেন হারশালি মালহোত্রা। ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমায় তিনি অভিনয় করেন ‘মুন্নি’ চরিত্রে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সিনেমাটির মুক্তির এক দশক পূর্ণ হয়েছে। এই উপলক্ষে হারশালি মালহোত্রা লিখেছেন একটি আবেগঘন খোলাচিঠি, যেখানে নিজের প্রথম সিনেমা ও শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন তিনি। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
হারশালি লিখেছেন, আজ থেকে ১০ বছর আগে আমার জীবনে এক অসাধারণ মুহূর্ত এসেছিল। তখন আমার বয়স ছিল মাত্র ছয়। ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ শুধু একটি সিনেমা নয়, এটা ছিল এক অনুভূতির নাম—যেখানে ভালোবাসা, মানবতা আর বিশ্বাসের শক্তিকে তুলে ধরা হয়েছিল। এই গল্পটি সারা বিশ্বের কোটি মানুষের হৃদয় স্পর্শ করেছিল।
তিনি স্মরণ করেন, সিনেমায় তার চরিত্র মুন্নির মুখে কোনো সংলাপ ছিল না। তবু নীরব সেই চরিত্রটি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেয়। হারশালির ভাষায়, ছোট বয়সে আমি অনেক কিছু না বুঝলেও মুন্নিকে আমি অনুভব করতে পেরেছিলাম। তাকে বোঝার চেষ্টা করেছিলাম, তার মধ্যে নিজের আবেগ ঢেলে দিয়েছিলাম। সে ছিল এক শান্ত, সরল বালিকা—কিন্তু সিনেমার পুরো আবহ সে নিজের মধ্যে ধারণ করেছিল।
শুটিংয়ের দিনগুলো প্রসঙ্গে হারশালি জানান, ক্যামেরার বাইরে আমি ছিলাম এক দুরন্ত শিশু, সারাক্ষণ খেলায় মেতে থাকতাম। কিন্তু ক্যামেরার সামনে আমাকে হতে হতো সংবেদনশীল। যুদ্ধ বা সহিংস দৃশ্যের সময় ভয় পেয়ে যেতাম, কখনো কানে হাত দিতাম, কখনো লুকিয়ে পড়তাম চেয়ারের পেছনে। অনেক সময় কেঁদেও ফেলতাম। কারণ, আমি বুঝতাম না ঠিক কী হচ্ছে। তবে ইউনিটের সবাই আমাকে খুব ভালোবাসতেন, নিরাপদ পরিবেশেই কাজ করতে পেরেছি।
সালমান খান প্রসঙ্গে হারশালি লিখেছেন, সালমান স্যার আমাকে সবচেয়ে বেশি স্নেহ করতেন। তার কাছেই আমি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা পেয়েছি। আর পরিচালক কবির স্যার প্রতিটি দৃশ্য এমনভাবে ব্যাখ্যা করতেন, যেন সেটা গল্প শোনাচ্ছেন। ফলে অভিনয়টা সহজ হয়ে যেত। পুরো ইউনিট আমাকে নিজেদের একজন বলেই দেখতেন।
বর্তমানে ১৬ বছর বয়সী হারশালি বলিউডে নিয়মিত কাজ করছেন এবং ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে নিজেকে তুলে ধরতে চান বলে জানিয়েছেন।