ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণ প্রবেশের জন্য বিশেষ যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপকক্ষে ৬৩ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৪ জন ছিলেন ত্রাণপ্রার্থী।
বিশ্বজুড়ে এক হাজারেরও বেশি ইহুদি রাব্বি বা ধর্মগুরু ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় অনাহারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ এনেছেন এবং অবরুদ্ধ এলাকায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ফিলিস্তিনে চলা নির্মমতায় কষ্ট পাচ্ছেন আলিয়া ভাটের মা সোনি রাজদান। সোনির দাদা ছিলেন জার্মান। হিটলারের বিরুদ্ধে একটা সময়ে তিনি প্রতিবাদও করেছিলেন। এ বিষয়ে সমাজমাধ্যমে দীর্ঘ পোস্ট করেছেন সোনি রাজদান। পাশাপাশি বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের কথাও উঠে এসেছে তার পোস্টে।
আলিয়ার মা লেখেন, তার দাদাকে আজ ফিলিস্তিনের নৃশংসতা দেখতে হচ্ছে না, এই জন্য তিনি খুশি। সোনির দাবি, তার দাদা একটা সময়ে যাদের (ইহুদি) জন্য লড়াই করেছেন, আজ তারাই অন্য এক জাতির উপর নৃশংসতা চালাচ্ছে। সোনির এই দীর্ঘ পোস্ট সমাজমাধ্যমে ‘লাইক’ করে সমর্থন জানিয়েছেন তার অভিনেত্রী কন্যা আলিয়াও।
হিটলার-শাসনের বিরোধিতা করেছিলেন সোনির দাদা। তিনি গোপনে একটি সংবাদপত্র বার করতেন সেই সময়। সোনি লেখেন, ‘ওই সংবাদপত্র যতটা সম্ভব ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তারা। তার পরে অবশ্যই যা হওয়ার তাই হয়েছিল। একদিন দাদাকে তার খুঁজে বার করে এবং গ্রেপ্তার করে। প্রথমে সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছিল। তার পরে সেখান থেকে তাকে কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে অনেক কষ্ট সহ্য করেছিলেন তিনি। ভয়ংকর সব জিনিস দেখেছিলেন।’ কিন্তু জার্মান ছিলেন বলেই সেখান থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। বহু চেনা-পরিচিত আইনজীবী ছিল তার।
সোনি তার পোস্টে লেখেন, নিজে জার্মান হলেও, হিটলারের জমানায় অত্যাচারিত ইহুদিদের হয়ে সরব হয়েছিলেন। এ কারণেই একটা সময়ে জার্মানি থেকে সারা জীবনের জন্য নির্বাসিত হতে হয়েছিল তাকে। এই ইহুদিদের জন্যই এখন ফিলিস্তিনের মানুষ নির্যাতিত। সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন
তাই সোনি লেখেন, আমার দাদা সাহসের সঙ্গে স্বৈরশাসকদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। তাই এখন ফিলিস্তিনের অবস্থা দেখে মনে হয়, ভাগ্যিস দাদা বেঁচে নেই। বেঁচে থাকলে তার মন ভেঙে যেত। যাদের জন্য লড়েছিলেন তারাই এখন অত্যাচার করছে।
যদিও এমন বহু ইহুদি রয়েছেন, যারা ফিলিস্তিনে যা ঘটছে তার বিরোধিতা করছেন, ঠিক যেমন বহু জার্মান মানুষ হিটলারের বিরোধিতা করেছিলেন, মনে করেন সোনি। পারিবারিক এই ইতিহাসের জন্যই আজ ফিলিস্তিনে চলা নৃশংসতার সঙ্গে নিজের যোগসূত্র খুঁজে পান আলিয়ার মা।