থালাপতি বিজয়ের সিনেমা দেখে প্রেমে পড়েন স্ত্রী সঙ্গীতা

সম্প্রতি থালাপতি বিজয়ের রাজনীতিতে প্রবেশ নিয়ে বেশ হইচই চলছে নেট মাধ্যমে। দক্ষিণ ভারতের এই সুপারস্টারে পারিবারিক নাম জোসেফ বিজয় চন্দ্রশেখর। ‘থালাপতি’ উপাধিতে সিনেমায় রাজত্ব করেছেন তিনি। এখন রাজনীতির মঞ্চেও আলোচিত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছেন তিনি।

বিশাল ভক্তশ্রেণি নিয়ে এবার তিনি নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন। পর্দার নায়ক থেকে জনতার নায়ক—এখন এভাবেই পরিচিত বিজয়।

তামিল সিনেমার এই সুপারস্টারের স্ত্রী সঙ্গীতা সর্নালিংগম। শ্রীলঙ্কান তামিল পরিবারে জন্ম নেওয়া সঙ্গীতা বড় হয়েছেন যুক্তরাজ্যে।

বিজয় ভারতের অন্যতম সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতাদের একজন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০ বছরেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে ‘লিও’, ‘বিগিল’, ‘ভারিসু’, ‘দ্য গ্রেটেস্ট অব অল টাইম’-এর মতো ব্লকবাস্টার ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে তার সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক ৬০০ কোটি রুপি।

তবে বিজয়ের স্ত্রী সঙ্গীতাও সমানভাবে বিত্তশালী। ১৯৭৪ সালের ২২ জুন ভারতের চেন্নাইতে জন্ম নেওয়া সঙ্গীতা শৈশবে লন্ডনে চলে যান। তার বাবা ছিলেন ধনী ব্যবসায়ী। বিভিন্ন প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে, সঙ্গীতার সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক ৪০০ কোটি রুপি। যদিও বিজয়ের চেয়ে বেশি সম্পদশালী হওয়ার গুঞ্জনটি প্রমাণিত নয়।

সঙ্গীতার সঙ্গে বিজয়ের প্রেমের গল্পও বেশ চলচ্চিত্রসম। ১৯৯৬ সালে লন্ডনে থাকাকালীন তিনি বিজয়ের ‌‘পূভে উনাক্কাগা’ সিনেমাটি দেখে মুগ্ধ হন। শুধু মুগ্ধ হয়েই থেমে থাকেননি; চেন্নাই গিয়ে সিনেমার সেটে সরাসরি বিজয়ের সঙ্গে দেখা করেন। সেই সাক্ষাতের পর শুরু হয় বিশেষ সম্পর্কের সূত্রপাত। তিন বছরের প্রেম শেষে ১৯৯৯ সালের ২৫ আগস্ট তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের বিয়ে হয় হিন্দু ও খ্রিস্টান ধর্মীয় রীতিতে।

তাদের দুই সন্তান—জেসন সঞ্জয় (জন্ম ২০০০) ও দিব্যা সাশা (জন্ম ২০০৫)। সন্তানরা কখনও কখনও বিজয়ের সিনেমায় ছোট চরিত্রে অভিনয় করলেও পূর্ণাঙ্গভাবে চলচ্চিত্রে যুক্ত হননি। সঙ্গীতা নিজেও সবসময় মিডিয়ার আড়ালে থাকেন।

২০২৪ সালে বিজয় তার রাজনৈতিক দল ‘তামিলগা বিজয় কজাহাগম (টিভিকে)’ গঠন করলে সঙ্গীতা তাকে নীরবে সমর্থন করেন। তিনি বরাবরই থালাপতি বিজয়ের জীবনে শক্তির অবলম্বন হয়ে আছেন।