নতুন চমক নিয়ে আসছেন লামিয়া-বাঁধন

ঢাকাই চলচ্চিত্রের একসময়ের জনপ্রিয় দুই মুখ প্রয়াত তারকা দম্পতি সোহেল চৌধুরী ও পারভীন সুলতানা দিতির কন্যা লামিয়া চৌধুরী। ছোটবেলা থেকেই সিনেমার প্রতি ছিলো প্রবল আগ্রহ। নিজেকে দক্ষ করে তুলতে ফিল্ম প্রডাকশনের ওপর পড়াশোনাও করেছেন। কিন্তু এত দিন শোবিজ অঙ্গনে কাজ করতে পারেনি। এবার সেই আশা পূরণ হতে চলেছে। তিনি জানালেন সিনেমার রঙিন পর্দা আসছেন তিনি। তবে অভিনের মাধ্যমে নয়, নির্মাতা হিসেবে। তার এই সিনেমার নাম ‘মেয়েদের গল্প’। আর এই সিনেমার নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে থাকছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। বুধবার (৮ মে) গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে বাঁধন বলেন, গত দুই বছর ধরেই আপনারা জানেন, আমি বলে আসছিলাম বাংলাদেশে মেয়ে রাইটার কিংবা নির্মাতা খুবই কম। আমি আসলে অনেক দিন ধরেই ভাবছিলাম, যে গল্পটা আমি বলতে চাই, দেখতে চাই, সেটা যদি বলতে পারতাম! এখন আমার কাছে মনে হয়েছে যে আমি একজন মেয়ে রাইটার ও নির্মাতা খুঁজে পেয়েছি। তিনি হচ্ছেন লামিয়া চৌধুরী। এই সিনেমার গল্পটি তিনিই লিখেছেন এবং নির্মাণ করবেন। যেহেতু আমি লেখক নই, আবার পরিচালনাকে আমার কাছে খুব কঠিন কাজ মনে হয়। তো একবার দিতি আপুর কবর জিয়ারত করতে যাওয়ার সময় লামিয়ার সঙ্গে গাড়িতে বসেই আলাপ হয়। ওর গল্পটা আমাকে জানায়। ওই মুহূর্তেই আমি ওকে বলেছিলাম, কাজটি করতে চাই। কারণ, আমি একজন নারী লেখক-নির্মাতাকেই খুঁজছিলাম মনে মনে। গল্পটা সত্যিই অসাধারণ। এর চেয়ে ভালো গল্প আর হতেই পারে না আমার নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার জন্য। এরজন্যই আমি এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছি।

তিনি আরো বলেন, দিতি আপার সঙ্গে আমার একটা আত্মার সম্পর্ক ছিল। আমি মনে করি এখনও সেই সম্পর্ক বিদ্যমান। উনি বহু প্রতিভার অধিকারী একজন মানুষ ছিলেন। সেই গুণ তার সন্তানদের মধ্যেও আছে। আমার এই প্রজেক্ট না নিয়ে লামিয়ার সঙ্গে ওইভাবে কখনও কথা হয়নি। এটা অনেক আগের প্রজেক্ট। সে সিনেমার গল্পটা নিয়ে অনেকদিন ধরে কাজ করেছে। এরপর যখন আমি ফাইনালি শুনি তখন মনে হলো আমার কাছে আচ্ছা এবার হয়েছে এই গল্পে প্রযোজক হিসেবে আত্ম প্রকাশ করার।

অন্যদিকে লামিয়া জানালেন, বছর দশেক আগে এই ছবিটির কথা তিনি তার মা দিতিকে বলেছিলেন। তিনি ছবিটি প্রযোজনা এবং এতে অভিনয় করবেন বলেও কথা দিয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৬ সালে দিতির মৃত্যুর কারণে সব থমকে যায়।

লামিয়া বলেন, আমি আসলে পুরোপুরি হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম। কারণ, আমাদের ইন্ডাস্ট্রির পরিস্থিতিও খুব বাজে। কিন্তু বাঁধন আপু আমাকে সাহস দিয়েছেন, আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছেন। আমরা দুজন মিলে ছবিটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এরই মধ্যে আমার চিত্রনাট্য লেখার কাজ শেষ হয়ে গেছে।

মেয়েদের গল্পতে কে অভিনয় করবেন? সে বিষয়টি অবশ্য লামিয়া কিংবা বাঁধন কেউই প্রকাশ করেননি। তবে বাঁধন জানান, ইতোমধ্যে ছবির প্রযোজকও প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরই ছবিটির কাজ সেরে ফেলতে চান তারা। নির্মাণ শেষে এটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। এরপর কোনো ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আসতে পারে।