কানের মঞ্চে ইতিহাস গড়লো জাপানের স্টুডিও জিবলি

কান চলচ্চিত্র উৎসবে সম্মানসূচক ‘স্বর্ণপাম’ পেয়ে ইতিহাস গড়ল জাপানের স্টুডিও জিবলি। প্রথমবারের মতো কোনও প্রতিষ্ঠানকে সম্মানসূচক ‘স্বর্ণপাম’ দেওয়া হলো কানে। জাপানের স্টুডিও জিবলি এই সম্মাননায় ভূষিত হয়েছে।

স্টুডিও জিবলি’র তিন প্রতিষ্ঠাতা হায়াও মিয়াজাকি, ইসাও তাকাহাতা ও তোকুমা শোতেন।

চার দশকের বেশি সময় ধরে সব বয়সী দর্শকদের মুগ্ধ করা অসাধারণ কিছু অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন তারা। তাদের মধ্যে ইসাও তাকাহাতা মারা গেছেন। 

পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে সোমবার বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে স্টুডিও জিবলি, জিবলি মিউজিয়াম ও জিবলি পার্কের পক্ষ থেকে সম্মানসূচক স্বর্ণপাম গ্রহণ করেছেন হায়াও মিয়াজাকির ছেলে গোরো মিয়াজাকি। 

স্টুডিও জিবলির নামকরণ করেছেন এর প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম এবং এর বর্তমান পরিচালক হায়াও মিয়াজাকি। 'জিবলি' শব্দটির অর্থ হচ্ছে 'সাহারা মরুভূমির মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া তপ্ত ঝড়'। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইতালীয় স্কাউটিং উড়োজাহাজের নামকরণে 'জিবলি' শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছিল। মিয়াজাকি উড়োজাহাজ খুব পছন্দ করতেন বলে সেই উড়োজাহাজের নামে তার স্টুডিওর নামকরণ করেন।

গোরো মিয়াজাকির  হাতে পুরস্কার তুলে দেন এবারের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের বিচারক প্যানেলে থাকা স্প্যানিশ পরিচালক হুয়ান আন্তোনিও বায়োনা। মঞ্চে তখন ছিলেন কান উৎসবের পরিচালক থিয়েরি ফ্রেমো ও সভাপতি ইরিস নোব্লোক। 

থিয়েরি ফ্রেমো বলেন, ‘আজ সবাই এখানে এসেছি কারণ আমরা জাপানি অ্যানিমেশনে বুঁদ হয়ে আছি। প্রথমবারের মতো ইরিস নোব্লোক ও আমি কোনও সৃজনশীল ব্যক্তির পরিবর্তে একটি স্টুডিওকে সম্মানসূচক স্বর্ণপাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কী দারুণ একটি স্টুডিও! গোরো মিয়াজাকির প্রতিনিধিত্ব করা স্টুডিও জিবলিকে এটি দিচ্ছি!’

২০১৫ সাল থেকে কান উৎসবের প্রতিটি আসরে দেওয়া হচ্ছে সম্মানসূচক স্বর্ণপাম। সর্বশেষ গত ১৪ মে ৭৭তম আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই সম্মানে ভূষিত হয়েছেন আমেরিকান অভিনেত্রী মেরিল স্ট্রিপ। তার আগে আরও কয়েকজন সম্মানসূচক স্বর্ণপাম পেয়েছেন। তাদের সবাইকে ব্যক্তি হিসেবে এই স্বীকৃতি দিয়েছেন আয়োজকরা। এবার সেই রীতিতে পরিবর্তন আনা হলো। প্রথমবারের মতো কোনও প্রতিষ্ঠানকে সম্মানসূচক স্বর্ণপাম দেওয়া হলো।