পৈতৃক জমি দখলের অভিযোগে চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভীন পপির বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন তার মেজো বোন। জিডি করার পর স্বামী, সন্তান নিয়ে প্রকাশ্যে এসেছেন ঢালিউডের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পপি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘ ৬ বছরেরও বেশি সময় হলো জাহাজ ব্যবসায়ী আদনান উদ্দিন কামালকে বিয়ে করেছেন পপি। তাদের সংসারে চার বছরের একটি পুত্র সন্তান (নাম আয়াত) রয়েছে। লুকিয়ে বিয়ে করায় দীর্ঘদিন ধরেই মিডিয়ার আড়ালে ছিলেন অভিনেত্রী। তবে আরও একটি পারিবারিক কারণে নিজেকে ‘গৃহবন্দি’ করেছিলেন তিনি।
কারণ চিত্রনায়িকা পপির এটি প্রথম বিয়ে হলেও ব্যবসায়ী আদনানের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম ঘরে আদনানের স্ত্রী ও তিনটি সন্তান রয়েছে। তাই পরিবারের চাপে পপিকে প্রকাশ্যে আনতে পারেননি আদনান। বিয়ের পর থেকেই আদনানের পরিবার পপিকে মেনে নেয়নি। এখনও মেনে নিয়েছে কি না সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, বিয়ের পর স্বামীকে নিয়ে ধানমন্ডির একটি বাসায় থাকতেন পপি। ওই সময় থেকেই এক প্রকার ‘গৃহবন্দি’ হয়ে থাকতেন। যে কারণে ঢালিউডের সিনেমায় অভিনয় করা থেকে দূরে সরে যান অভিনেত্রী। বর্তমানে স্বামী ও সন্তান নিয়ে খুলনায় বসবাস করলেও মাঝেমধ্যে ঢাকায় আসেন তিনি।
এমন পরিস্থিতিতে পপির মায়ের পরিবারের সঙ্গেও বনিবনা নেই। পৈতৃক সম্পত্তির ভাগ ভাই-বোনদের না দিয়ে একাই ভোগ করতে চাওয়ায় পারিবারিক কলহে জড়িয়ে পড়েছেন। মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন ভাই, বোন ও মাকে।
এ ঘটনায় সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় জিডি করেন অভিনেত্রীর বোন ফিরোজা পারভীন। পপির বিরুদ্ধে থানায় জিডি করার পরই অভিনেত্রীর স্বামী, সন্তানের খবর ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে।
এ বিষয়ে চিত্রনায়িকা পপির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
১৯৯৭ সালে মনতাজুর রহমান আকবরের ‘কুলি’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রাঙ্গনে অভিষেক হয় সাদিকা পারভিন পপির। ২০০৩ সালে ‘কারাগার’, ২০০৮ সালে ‘মেঘের কোলে রোদ’, ২০০৯ সালে ‘গঙ্গাযাত্রা’ সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জিতেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।