ধর্ষণ মামলায় জামিন শুনানি চলাকালে সমালোচিত গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল আদালতের কাঠগড়ায় স্ত্রীর হাত ধরে হাসিমুখে গল্প করছিলেন । এ সময় পুলিশ সদস্য হাত ছেড়ে দিতে ও আসামি থেকে দূরে যেতে বলায় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ওই পুলিশ সদস্যকে ধমক দেন নোবেল।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বেলা ১২টা ২৩ মিনিটের দিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুবের আদালতে হাজির করা হয় নোবেলকে। এরপর বিচারক এজলাসে না থাকা অবস্থায় কাঠগড়ায় স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে থাকেন নোবেল। কখনো হাত ধরে, কখনো কানে কানে ফিস ফিস করে হেসে হেসে কথা বলতে থাকেন দুজনে।
এ সময় দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিটের দিকে সাজ্জাদ নামে কোর্টের এক পুলিশ সদস্য নোবেলের স্ত্রী প্রিয়াকে জানান, ‘কোর্টে এভাবে আসামির হাত ধরে থাকা নিষেধ। আপনি কাঠগড়া থেকে একটু দূরে গিয়ে দাঁড়ান।’ এ ঘটনায় রীতিমতো বিগড়ে যান নোবেল। তিনি ওই পুলিশ সদস্যকে বলেন, ‘এই আপনার নাম কী?’ তবে পুলিশ সদস্য উত্তর না দেওয়ায় ফের নাম জানতে চান নোবেল। এরপরেও কোনো উত্তর না মিললে নোবেল পুলিশ সদস্যকে বলেন, ‘আপনার কোনো কিছু দরকার?’। তখন পুলিশ সদস্য ‘না’ উত্তর দেন।
ওই সময় রাগের সুরে ওই পুলিশ সদস্যকে বলেন, ‘তাহলে এখান থেকে সরে যান। দূরে যান বলছি। সে আমার স্ত্রী। আমার স্ত্রীর হাত ধরে কথা বলছি।’
এ দিকে কিছুক্ষণ পর এজলাসে আসেন বিচারক। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন ও আমিনুল ইসলাম মল্লিক নোবেলের জামিন চান। বাদী প্রিয়াও আদালতকে বলেন, ‘আসামি জামিন পেলে তার কোনো আপত্তি নেই।’ শুনানি শেষে একটু পর আদালত আসামি নোবেলকে ১ হাজার টাকা বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেন। শুনানি শেষে আসামি নোবেল ও তার স্ত্রী হাসি মুখে একসঙ্গে হাতে হাত ধরে হাজতখানায় যান।
এর আগে গত ১৯ জুন কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে নোবেল ও প্রিয়ার বিয়ে হয়। তার আগে গত ১৮ জুন তাদের কাবিনমূলে বিয়ের ব্যবস্থা করার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত।