সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্তদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকার সুযোগ থাকলেও, কখনো কখনো সেই প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত হয়রানির উৎস। সম্প্রতি এমনই এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল।
একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার ইনবক্সে কুপ্রস্তাব পাঠালে, পিয়া সরাসরি পুলিশকে ফোন নম্বর দিয়ে দেন। এরপর সেই বার্তার স্ক্রিনশট ফেসবুকে প্রকাশ করেন তিনি।
পিয়ার শেয়ার করা স্ক্রিনশটে দেখা যায়, ওই ব্যক্তি পিয়াকে উদ্দেশ করে লেখেন, ‘আমি কোনো বেঈমান অথবা বাজে ছেলে নই। আমি দীর্ঘদিন থেকে আপনার প্রতি খুব বেশি দূর্বল এবং আপনার এক অন্ধভক্ত।’
এরপর তিনি আরও লেখেন, ‘চিরদিনের জন্য আপনার আর আমার মধ্যে ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরী করতে চাই। আপনি আমি ছাড়া আমাদের গভীর প্রেমের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক পৃথিবীর কেউ জানবে না। আল্লাহর কসম।’
সবশেষে তিনি পিয়ার কাছে তার ফোন নম্বর ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দাবি করেন।
পিয়া এসব বার্তার কোনোটিতেই সাড়া না দিয়ে শেষ মেসেজটির উত্তরে গুলশান থানার ফোন নম্বর দিয়ে পাঠান।
পিয়ার এই জবাব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তার পোস্টের মন্তব্য ঘরে অনেকেই তাকে সাহসী ও সচেতন সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রশংসা করেছেন।
একজন মন্তব্য করেছেন- ‘সব দুর্বলরা এভাবে মেসেজ দিলে আপনার ইনবক্সে তো বন্যা হয়ে যাবে!’
আরেকজন বলেন,‘ দিতেন একটু ভালোবাসা, তাতে কী হতো আপনার? সুন্দরকে একজন ভালোবাসাতেই পারে, তাতে দোষের কী?’
সামাজিক মাধ্যমে সেলিব্রেটিদের এমন অনাকাঙ্ক্ষিত বার্তা পাওয়া নতুন কিছু নয়। তবে পিয়ার মতো সচেতন প্রতিক্রিয়া সমাজে ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এ ধরনের আচরণ হয়রানি হিসেবে গণ্য হতে পারে, এবং এ নিয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
সাফল্যের আনন্দে কেঁদে ফেললেন রক
প্রেমের গুঞ্জনে মুখ খুললেন শ্রীলেখা