নতুন কুঁড়ির অডিশন শুরু হচ্ছে আজ

বাংলাদেশ টেলিভিশনের শিশু-কিশোরদের জনপ্রিয় প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান নতুন কুঁড়ির আঞ্চলিক পর্যায়ের অডিশন  বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) শুরু হচ্ছে। দেশের ৬৪টি জেলাকে ১৯টি অঞ্চলে ভাগ করে অডিশন কার্যক্রম চলবে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত। আঞ্চলিক পর্যায়ে ‘ইয়েস কার্ড’ প্রাপ্ত প্রতিযোগীরা পরবর্তীতে বিভাগীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। বিভাগীয় পর্যায়ের অডিশন হবে  শনিবার (৪ অক্টোবর) থেকে (১১ অক্টোবর) পর্যন্ত।

প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অডিশন অনুষ্ঠিত হবে। তবে নির্ধারিত সংখ্যক অংশগ্রহণকারীর অডিশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত দিনের কার্যক্রম চলবে। অংশগ্রহণকারীদের অডিশনের তারিখ মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। বিভাগীয় পর্যায়ের উত্তীর্ণ প্রতিযোগীরা পরবর্তীতে বিটিভি ঢাকা কেন্দ্রের বিভিন্ন ধাপে অংশ নেবেন।

অডিশন হবে নবজাতক ৯টি বিষয়ে- অভিনয়, আবৃত্তি, গল্প বলা/কৌতুক, সাধারণ নৃত্য/উচ্চাঙ্গ নৃত্য, দেশাত্মবোধক গান/আধুনিক গান, রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলসংগীত, লোকসংগীত এবং হামদ-নাত। বয়সভিত্তিক দুটি শাখা থাকবে- ‘ক’ শাখা (৬-১১ বছর) এবং ‘খ’ শাখা (১১-১৫ বছর)। প্রতিযোগীরা সর্বোচ্চ তিনটি বিষয়ে অংশ নিতে পারবেন।

আঞ্চলিক অডিশন বিভিন্ন জেলায় অনুষ্ঠিত হবে

  • ঢাকা-১ ও ঢাকা-২ অঞ্চলের অডিশন বিটিভি ঢাকা কেন্দ্র, রামপুরা।
  • ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলার অডিশন ফরিদপুর শিশু একাডেমি।
  • ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর জেলা ময়মনসিংহ শিল্পকলা একাডেমি।
  • সিলেট ও চারটি জেলা সিলেট শিল্পকলা একাডেমি।
  • রংপুর-১ ও রংপুর-২ অঞ্চল রংপুর ও দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমি।
  • রাজশাহী-১ ও রাজশাহী-২ অঞ্চল রাজশাহী ও বগুড়া শিল্পকলা একাডেমি।
  • খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের অডিশন সংশ্লিষ্ট শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হবে।

চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলসহ কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নোয়াখালী জেলা চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমি ও রাঙামাটি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড অডিটোরিয়াম।

বিটিভির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আঞ্চলিক ও বিভাগীয় পর্যায়ের অডিশনের তথ্য বিটিভি স্ক্রল ও ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।

১৯৭৬ সালে মোস্তফা মনোয়ারের প্রযোজনায় বিটিভিতে শুরু হয় ‘নতুন কুঁড়ি’। একসময় বহু নতুন প্রতিভার আবির্ভাবের মঞ্চ হিসেবে পরিচিত এই অনুষ্ঠান সর্বশেষ অনুষ্ঠিত হয় ২০০৫ সালে। প্রায় দুই দশক পর শিশু-কিশোরদের জন্য এটি আবারও ফিরে এসেছে।