বাংলা সংগীতপ্রেমীদের জন্য নতুন চমক নিয়ে এসেছে কোক স্টুডিও বাংলা। তৃতীয় সিজনের সপ্তম গান ‘ক্যাফে’ প্রকাশের পর থেকেই আলোচনায় এসেছে গানটি। জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী তানজির চৌধুরী তুহিনের কণ্ঠে প্রাণ পাওয়া এই গানটি যেন এক অনন্য সংগীত-অভিজ্ঞতা। এতে অংশ নিয়েছেন ব্রাজিলীয়ান শিল্পী লিভিয়া মাতোস এবং সুর-ছন্দে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন গৌরব চ্যাটার্জি গাবু।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে আটটার দিকে কোক স্টুডিও বাংলার ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পায় গানটি। প্রকাশের পর মুহূর্তেই দর্শক-শ্রোতাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে উচ্ছ্বাস। গানের শুরুতেই তানজির তুহিনের কণ্ঠে সুর ও ছন্দের দোলা দেখে শ্রোতারা রীতিমতো চমকে যান।
৫ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের এই গানটিতে শুধু সুরের খেলা নয়, উঠে এসেছে অনুভূতি। যেখানে বাংলা ও লাতিন জ্যাজের অপূর্ব মেলবন্ধন পাওয়া যায়। শুভেন্দু দাস শুভর সংগীতায়োজনে এফ্রো-কিউবান জ্যাজ, লাতিন সালসা এবং বাংলা পঙক্তি একসঙ্গে উঠে এসেছে। গাবুর ছন্দ, অ্যাকর্ডিয়নে তোলা লিভিয়ার সুর এবং তানজির তুহিনের কণ্ঠ- সব মিলিয়ে গানটিকে করেছে অনন্য; সব মিলিয়ে অনুভূতিটা এমন, যেন একটি ক্যাফেই মাতাচ্ছেন তারা!
গানটি শুনে শ্রোতাদের মন্তব্যও ছিল সব চমৎকার! প্রথমত শিরোনামহীন, আভাস থেকে বিপুল জনপ্রিয়তা পাওয়া তানজির তুহিনকে দেখে চমকে যান শ্রোতারা। তাদের বেশ কয়েকজনের মন্তব্য- ‘আরে তুহিন ভাই!’
আর গানের সার্বিক পরিবেশনার প্রশংসা তো রয়েছেই। বিশেষ করে লাতিন ধাঁচের এই সংগীত শুনে ভক্তরা অনেকে চলে গেছেন যেন আশির দশকে! একজনের মন্তব্য, ‘এইট্টিনএস'র নস্টালজিয়া ফিরে এল লাতিন ভাইবের সঙ্গে।’
গানটি প্রকাশের সঙ্গে কোকস্টুডিও বাংলা তাদের ক্যাপশনে লিখেছে, একটা ক্যাফে, যেন হাজারো ছোট গল্পের একটা বই, যেখানে শব্দগুলো আস্তে আস্তে ভেসে যায়। এখানে চোখে চোখে কিছু কথা থেমে থাকে, আর অগোছালো নস্টালজিয়ায় মোড়ানো থাকে স্মৃতি। ক্যাফে সেই থেমে থাকা সময়ের গল্প, যেখানে প্রতিটা টেবিল একেকটা অধ্যায়, কখনও শুরু, কখনও শেষ, কখনও নিঃশব্দ অপেক্ষা।