করোনা, এইচএমপিভির পর নতুন আতঙ্কের নাম গুলেন বেরি সিনড্রোম (Guillain Barre Syndrome)। মহারাষ্ট্রের পুণে শহরে এই স্নায়বিক রোগে ইতোমধ্যে মৃত্যু হয়েছে একজনের। এবার কলকাতাতেও খোঁজ মিলল গুলেন বেরি আক্রান্ত রোগীর। আক্রান্ত হয়েছে দুই শিশু। দুজনেই ভেন্টিলেশনে চিকিতসাধীন রয়েছে। খবর আজকাল.ইন অনলাইন, কলকাতা টিভি অনলাইন।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুই শিশুর এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, আক্রান্ত দুই শিশুর একজনের বয়স আট বছর এবং অপরজনের বয়স নয় বছর। দুজনেই ভর্তি রয়েছে পার্ক সার্কাস ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ-এ। দুজনেই ভেন্টিলেশনে রয়েছে। একজন প্রায় দু’ সপ্তাহ ধরে এবং একজন একমাসের বেশি সময় ধরে ভর্তি হাসপাতালে। ওই দুই শিশুর উপসর্গ হিসেবে রয়েছে জ্বর-সর্দি। চোখের নিচের চামড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে, মহারাষ্ট্রের পুনেতে প্রথম এই বিরল স্নায়ুরোগের প্রকোপ দেখা দেয়। ইতোমধ্যেই গুলেন বেরি সিন্ড্রোমে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৬৮ জন পুরুষ এবং ৩৩ জন মহিলা। শনিবার মহরাষ্ট্রের পুনেতে এই বিরল রোগের প্রথম শিকার এক চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। প্রথমে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন তিনি। তারপর শ্বাসকষ্ট ও শেষে মৃত্যু।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই জটিল স্নায়ুরোগে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্নায়ুকে আক্রমণ করে। সাধারণ ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাসঘটিত সংক্রমণে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। এই বিরল স্নায়ুরোগে আক্রান্ত হলে, স্নায়ুগুলিও ঠিকমতো কাজ করে না। হাত, পা অসাড় হয়ে যায়। পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কাও থাকে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা, খাবার খেতেও সমস্যা দেখা দেয়। অনেক ক্ষেত্রেই রোগীদের শ্বাসযন্ত্র অক্ষম হয়ে যায়, যা প্রাণঘাতী হতে পারে।
বিরল এই স্নায়ুরোগে একজন মানুষের ইমিউনো সিস্টেম ভুল করে শরীরের পেরিফেরাল নার্ভাস সিস্টেমকে অ্যাটাক করে। যে নার্ভাস সিস্টেম দিয়ে ব্রেইন ও স্পাইনাল কর্ড থেকে সারা শরীরে সিগন্যাল যায়।
গুলেন বেরি সিনড্রোম থেকে রেহাই পেতে সকলকে বাইরের খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি পানি ভাল করে ফুটিয়ে খেতে বলেছেন।