দেশে একাধিক স্থায়ী হাসপাতাল স্থাপন করতে চায় চীন

বাংলাদেশের সঙ্গে সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবার এক নতুন অধ্যায় শুরুর আগ্রহ জানিয়েছে চীন। স্থায়ীভাবে এদেশে একাধিক হাসপাতাল গড়ে তুলতে চায় তারা। যাতে থাকবে আধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ, এবং রোবোটিক চিকিৎসা।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘নি হাও! চীন-বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা উন্নয়ন প্রদর্শনী ২০২৫’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক্সপোতে এই আগ্রহের কথা জানায় দেশটি।

অনুষ্ঠানে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে আমরা এমন একটি স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়তে চাই যা টেকসই, মানবিক এবং প্রযুক্তিনির্ভর। শুধু হাসপাতাল স্থাপন নয় চিকিৎসক পাঠানো, রোগী রেফারাল সুবিধা এবং স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ নিতে আগ্রহী। 

এসময় বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে ব্যাপক আগ্রহের কথা জানায় চীনের শীর্ষস্থানীয় ১০টিরও বেশি হাসপাতালের প্রতিনিধিরা।

তাদের প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশে হাসপাতাল গড়ার পাশাপাশি তারা চীনা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশি চিকিৎসকদের জন্য চীনে উচ্চতর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে, যার মাধ্যমে চিকিৎসা মানে যুগান্তকারী পরিবর্তন আশা করা হচ্ছে।

এদিকে অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া চীনের শীর্ষস্থানীয় হাসপাতালগুলো রোগীদের জন্য বেশ কিছু বিশেষ সুবিধার কথা জানিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অনলাইন ও অনসাইট কনসালটেশন, দ্রুত মেডিকেল ভিসা প্রসেসিং, আমন্ত্রণপত্র প্রদান, ভাষা অনুবাদ সহায়তা, এবং বিমানবন্দর পিকআপ সার্ভিস।

এক্সপোর আয়োজক প্রতিষ্ঠান বেল্ট অ্যান্ড রোড হেলথকেয়ার সেন্টার-এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী কোরবান আলী বলেন, চীনের সঙ্গে এই স্বাস্থ্য সেতুবন্ধন আমাদের জন্য শুধুমাত্র সেবা নয় বরং সক্ষমতা তৈরি ও প্রযুক্তির যুগে প্রবেশের পথ খুলে দিচ্ছে।