সরকারি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) ৩৩টি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম প্রায় ৫০ শতাংশ কমিয়েছে। এর ফলে সরকারের ওষুধ কেনায় প্রায় ১১৬ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামাদ মৃধা।
তিনি জানান, দাম কমেছে অ্যান্টিবায়োটিক, নিউমোনিয়া, সর্দি-জ্বর, উচ্চরক্তচাপ, গ্যাস্ট্রিক আলসার, কৃমিনাশক, ব্যথানাশক, হাঁপানি ও ভিটামিন সংক্রান্ত ওষুধের।
ইডিসিএল জানায়, ওমিপ্রাজল ক্যাপসুল, কেটোরোলাক ইনজেকশন, অনডানসেট্রন ইনজেকশন, সেফট্রিয়াক্সোন ও সেফটাজিডিম ইনজেকশনের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো হয়েছে। মেরোপেন ওমিপ্রাজল ইনজেকশনের দামও হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া মনটিলুকাস্ট ট্যাবলেটের দাম ১০ টাকা ৬৭ পয়সা থেকে পাঁচ টাকা করা হয়েছে।
গ্রামীণ ক্লিনিকে তালিকাভুক্ত ৩২টি ওষুধের মধ্যে ২২টির দামও কমানো হয়েছে। গ্যাস্ট্রিকের অ্যান্টাসিড, প্যারাসিটামল, সালবিউটামল, অ্যালবেনডাজল, ক্লোরামফেনিকল আই ড্রপ, মেটফর্মিনসহ বিভিন্ন ওষুধের দাম কমানো হয়েছে।
এসময় প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যেসব ওষুধের দাম কমানো হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, ওরস্যালাইন, ইনজেকশনসহ মোট ৯ ধরনের ওষুধ।
প্রতিষ্ঠানের খরচ কমানোর পাশাপাশি লাভজনক অবস্থা দাঁড় করাতে কাজ চলছে জানিয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, উৎপাদন বাড়াতে এবং প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক করতে সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া, দুর্নীতি দমন এবং প্রায় ৭০০ অপ্রয়োজনীয় কর্মচারী ছাঁটাই করার মতো বেশ কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৫৯ কোটি টাকার সমপরিমাণ। কাঁচামাল কেনার দরপত্র উন্মুক্ত করার কারণে প্রতি মাসে প্রায় ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে।
তিনি জানান, ভবিষ্যতে ইডিসিএল-এর অধীনে নতুন দুটি প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে। এর মধ্যে একটি হবে ভ্যাকসিন উৎপাদনমুখী বায়োটেক প্ল্যান্ট, যেখানে ইনসুলিনসহ অন্যান্য বায়োলজিক্যাল পণ্য উৎপাদন করা হবে। নিজেদের কারখানায় উৎপাদন বাড়িয়ে সরকারি চাহিদার ৭০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনাও রয়েছে। টোল ম্যানুফ্যাকচারিং ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।