সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঠাণ্ডা ও কোমল পানীয়ের প্রতি মানুষের আসক্তি বেড়েছে। খাবারের সঙ্গে অনেকেই এগুলোকে অপরিহার্য মনে করেন। কিন্তু জানেন কি, একটি কোমল পানীয় শরীরে ভয়ংকর প্রভাব ফেলতে পারে?
চলুন, জেনে নিই সেগুলো-
কোমল পানীয় খাওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে আপনার শরীরে প্রায় ১০ চা চামচ চিনি ঢুকে যায়।
কোমল পানীয় পান করার পর রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বেড়ে ইনসুলিন নিঃসরণ শুরু হয়। ৪০ মিনিটে ক্যাফেইন শোষিত হয়ে রক্তচাপ বাড়ায় এবং লিভার চিনি রক্তে ছাড়ে। ৬০ মিনিটে ফসফরিক অ্যাসিড ও ক্যালসিয়ামসহ খনিজ উপাদান শোষিত হয়, যা ক্যাফেইনের কারণে মূত্রের সঙ্গে বেরিয়ে যায়।
Soft drinks৪
ডায়েট সোডাও কি নিরাপদ?
অনেকে ভাবেন, চিনিযুক্ত সোডা ক্ষতিকর হলেও ডায়েট সোডা নিরাপদ। কিন্তু এই ধারণা ভুল। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন ১ বা তার বেশি ডায়েট সোডা পান করেন, তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি ২.৯৬ গুণ বেশি। আলঝেইমারের ঝুঁকি ২.৮৯ গুণ বেশি।
এই গবেষণায় ২,৮০০ জন ৪৫ বছরের বেশি বয়সী মানুষকে ১০ বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করা হয়। গবেষকরা জানান, যদিও এটি একটি সম্পর্ক দেখায়, সরাসরি কারণ নয়, তবে কৃত্রিমভাবে মিষ্টিযুক্ত পানীয় যে মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর, তা স্পষ্ট।
কোমল পানীয় পানে আরো যেসব ঝুঁকি বাড়ে
স্থূলতা: প্রতিদিন সোডা পান করলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা ১.৬ গুণ বাড়ে।
হৃদরোগ: প্রতিদিন একটি ক্যান খেলেই ঝুঁকি বেড়ে যায় ২০%।
টাইপ-২ ডায়াবেটিস: প্রতিদিন ১-২ ক্যান পান করলে ঝুঁকি ২৬% বাড়ে।
দাঁত ও হাড়ের ক্ষয়: চিনির সঙ্গে থাকা অ্যাসিড দাঁত ও হাড় ক্ষয় করে।
কিডনির ক্ষতি: সোডিয়াম ও ফসফরিক অ্যাসিডের কারণে কিডনির কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে।
তাই এখনই সচেতন হোন। মাঝে মাঝে একটু পান করলেও নিয়মিত ঠাণ্ডা বা কোমল পানীয় পান করা থেকে বিরত থাকাই ভালো- শরীর, মস্তিষ্ক এবং ভবিষ্যতের জন্য।