তরমুজের বীজেও রয়েছে পুষ্টিগুণ

গ্রীষ্মকালীন ফলের মধ্যে তরমুজ অন্যতম। দেখতে লাল টুকটুকে এই মিষ্টি, সরস ফলটি গরমে পিপাসা নিবারণে বেশ কার্যকরী। রমজানে ইফতারের সময়ে অন্যান্য ফলের মতোই তরমুজ রাখতে পারেন। ছোট-বড় সবার পছন্দের তালিকার শীর্ষে থাকা এই ফলটিতে রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। তবে অনেকেই তরমুজ খাওয়ার সময় তার বীজগুলো ফেলে দিন। জানেন কী, তরমুজের মতোই তরমুজের বীজে রয়েছে নানা স্বাস্থ্যসুবিধা। তরমুজের বীজের পুষ্টি উপাদানসমূহ জেনে নিন- 

প্রোটিনের পাওয়ার হাউস: তরমুজের বীজগুলোকে প্রোটিনের পাওয়ার হাউস বলা হয়। ভেজেটেরিয়ান এবং নিরামিষ খেতে পছন্দ করে, এমন ব্যক্তিদের জন্য তরমুজ খাওয়ার বেলায় তার বীজ না ফেলে খাওয়াই ভালো। আপনি ডায়েটে থাকলেও শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিন পেতে দুপুরের খাবারের পর বা বিকেলে হালকা জলখাবারে তরমুজ খেতে পারেন। তরমুজের বীজ পেশী মজবুত গঠনে সহায়তা করে।

প্রয়োজনীয় ভিটামিন: তরমুজের বীজে রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং মিনারেল। সামগ্রিক সুস্থতায় তরমুজের সঙ্গে তার বীজগুলোও খান।

স্বাস্থ্যকর চর্বি: তরমুজের বীজে রয়েছে স্বাস্থ্যকর চর্বি। বিশেষ করে- মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিঅনস্যাচুরেটেড। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং প্রদাহ কমিয়ে থাকে। মস্তিষ্কের সুস্থতা বজায় রাখে। 

ফাইবার সমৃদ্ধ: তরমুজের বীজে ফাইবার থাকায় এটি হজম স্বাস্থ্যে উন্নত করে। কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে। ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। পেটের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: তরমুজের বীজে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যেমন- লাইকোপেন, ভিটামিন ই, এবং ফেনোলিক যৌগসমূহ। এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্টগুলো ফ্রী র্যা ডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাস করে। ক্রনিক রোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে তরমুজের বীজ বেশ উপকারী।

হার্টের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তরমুজের বীজ: তরমুজের বীজে স্বাস্থ্যকর চর্বি, ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকার কারণে এটি হার্টের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এবং কারর্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি এড়াতে অনেকটাই সহায়ক। বিশেষজ্ঞগণ, লো-ব্লাড প্রেশারের রোগীদের জন্য নিয়মিত বীজসহ তরমুজ খেতে পরামর্শ দিয়েছেন। 

রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: তরমুজের বীজে জিঙ্ক, ভিটামিন সি পাওয়া যায়। যা শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 

ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে তরমুজের বীজ: তরমুজ বীজসহ খাওয়ার ফলে তা ত্বকের অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধ করে। ত্বকে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। সূর্যের ক্ষতিকর ইউ.ভি রশ্নি ত্বককে থেকে রক্ষা করে।   

ভালো হয়, তরমুজ খাওয়ার কিছুক্ষণ আগে তা টুকরো করে কেটে ফ্রিজে রেখে দিন। একটু ঠাণ্ডা হলে তা বীজসহ খাওয়ার চেষ্টা করুন। গরমে স্বস্তি পেতে তরমুজের জুস করে খান।