বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের খাবার রয়েছে। ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিভেদে খাবারে ভিন্নতা থাকলেও বার্গার এমন একটি খাবার যা ইউনিভার্সাল। অনেকের কাছে বার্গার এতটাই প্রিয় যে, এটা দেখলেই লোভ সামলাতে হিমশিম খেয়ে থাকেন তারা। সেই সূত্র ধরেই প্রতি বছরের ২৮ মে আন্তর্জাতিক বার্গার দিবস পালিত হয়। তবে আজ ১৮ সেপ্টেম্বর পালিত হয় ‘চিজ বার্গার দিবস’।
মূলত, বার্গারের মধ্যে স্বাদের ভিন্নতা রয়েছে। কেউ বিফ, কেউ চিকেন বার্গার ভালোবাসে। তবে বার্গারের ক্ষেত্রে টপিংএর বেলায় তো বটেই শুধু চিজ দিয়ে বানানো নানারকম বার্গারও দারুণ জনপ্রিয়। যে বার্গারে আধিপত্য রয়েছে শুধুই চিজ বা পনিরের। ভোজন রসিকদের কাছে চিজ বার্গার কোন ক্যাটেগরিতে পড়ে জিজ্ঞেস করলেই উত্তরে বলেন, ‘ক্লাসিক বার্গার’। অনেক ধরনের বার্গারের মধ্যে প্রতিযোগিতায় বেশ শক্তভাবে প্রথম সারিতে রয়েছে চিজ বার্গারের চাহিদা।
চিজ বার্গারের সেই জনপ্রিয়তা থেকেই প্রতি বছর ১৮ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে ‘জাতীয় চিজবার্গার দিবস’ উদ্যাপন করা হয়। তবে চিজ বার্গার দিবস শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই একমাত্র পালন করা যাবে, এমন বিধিনিষেধের কথা কোথাও বলা নেই। ফলে খাওয়া যাবে চিজ বার্গার, উদ্যাপন করা যাবে দিবসটি। তাই, আজকের দিনে প্রিয়জনকে নিয়ে পছন্দের রেস্টুরেন্ট গিয়ে জমিয়ে আড্ডার সাথে চিজ বার্গার খেয়ে দিবসটি উদ্যাপন করে নিতে পারেন যে কেউ।
যদিও অনেকে মনে করেন, চিজ বার্গার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাদের ধারণাও অবশ্য ভুল। চলুন জেনে নেই চিজ বার্গারের উপকারিতা সম্পর্কে-
চিজের উপকারিতা:
চিজে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম থাকে। পাশাপাশি এতে কার্বোহাইড্রেট কম মাত্রায় পাওয়া যায়। যারা কম কার্বোহাইড্রেট যুক্ত ডায়েট মেনে চলছেন, তারা নিজের খাবারে নির্দিষ্ট পরিমাণে চিজ যোগ করতে পারেন। এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও সোডিয়াম থাকে। নিজের পুষ্টিগুণের জন্য চিজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে, মাংসপেশীর নির্মাণ ও রক্তে শর্করার পরিমাণ কম রাখতে ও হাড় মজবুত করতে চিজ উপকারী। গবেষকদের মতে, প্রতিদিন ৪০ গ্রাম চিজ খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে।