গরুর মাংস স্বাদে অতুলনীয় এবং পুষ্টি উপাদানসমৃদ্ধ। তাই বাংলাদেশের মানুষ মাংসের মধ্যে গরুর মাংস খেতেই বেশি পছন্দ করেন। তবে যারা উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট ও এলার্জির সমস্যায় ভুগছে, তাদের কোরবানির ঈদ এলেই মন খারাপ হয়। তাদের অনেকেই মনে করেন গরুর মাংস খেতে পারবেন না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে হার্টের রোগীদের জেনে-বুঝে পরিমাণ মতো মাংস খেতে হবে। তাই হার্টের রোগীরা নিচের নিয়মগুলো মেনে চললে তারাও গরুর মাংস খেতে পারবেন।
হার্টের রোগীদের কী পরিমাণ খাওয়া উচিত:
দৈনিক গরুর মাংস খাওয়ার নিরাপদ মাত্রা হলো- ৩ আউন্স বা ৮৫ গ্রাম। অর্থাৎ আনুমানিক একটা কম্পিউটারের মাউস বা একটি তাসের বান্ডিলের সমান টুকরাতে এই পরিমাণ মাংস পাবেন। আপনি যদি ৩ আউন্স বা ৮৫ গ্রাম চর্বি ছাড়া গরুর মাংস খান, তাহলে এটা থেকে আপনার দৈনিক ক্যালরির চাহিদার মাত্র ১০ শতাংশ আসবে। ৩ আউন্স মাংসে আছ ২০০ ক্যালরি এবং দৈনিক ক্যালরির চাহিদা ২০০০ ক্যালরি।
মাংস রান্না আগে চর্বি ছাড়িয়ে নিন:
মাংস রান্না করার আগে মাংস থেকে অতিরিক্ত চর্বি ছাড়িয়ে নিন। শুধু মাংসের টুকরা রান্না করতে পারেন। এই রান্না করা মাংস উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট ও এলার্জি রোগীরা খেতে পারবেন।
সিনার ও পাজরের মাংস:
গরুর শরীরের সিনা ও পাজরের মাংসে কোনো চর্বি থাকে না। তাই উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট ও এলার্জি রোগীরা সিনা ও পাজরের মাংস খেতে পারবেন। এই মাংস খেলে তেমন ক্ষতির শঙ্কা নেই।
টানা কতদিন খাবেন:
আপনি গরুর মাংস খেতে পারলেও দীর্ঘ সময়ের জন্য খেতে পারবেন না। ঈদের দিন থেকে শুরু করে পর পর তিন দিন খেতে পারেন।
দিনে দুই বেলার বেশি নয়:
মাংস অবশ্যই খাওয়া যাবে, তবে দিনে দুই বেলার বেশি নয়। আর মাংসের পরিমাণ হবে ছোট হলে তিন টুকরা আর বড় হলে দুই টুকরা।
গরুর মাংসের শিক কাবাব, চাপ:
শিক কাবাব কমবেশি সবারই বেশ পছন্দ, বিশেষ করে গরুর মাংসের শিক কাবাব। আর উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট ও এলার্জির রোগীরা গরুর মাংসের শিক কাবাব ও চাপ খেতে পারেন। কারণ এই খাবারগুলোতে চর্বি থাকে না।