সকালে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস শুরু করা অনেকের কাছেই চ্যালেঞ্জিং মনে হতে পারে। তবে এর সহজ, প্রাকৃতিক এবং কার্যকর একটি উপায় লুকিয়ে আছে একটি ছোট অথচ শক্তিশালী বীজ পাহাড়ি বাদামে, যাকে অনেকেই হিমালয়ান আমন্ড নামে চেনেন।
পাহাড়ি বাদাম
হিমালয়ান অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী এই বাদাম দেখতে ক্যালিফোর্নিয়ার পরিচিত আমন্ডের মতো হলেও আকারে ছোট, গাঢ় রঙের এবং তুলনামূলকভাবে তেল সমৃদ্ধ। এটি শুধু স্বাদেই ভিন্ন নয় পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ। তাই অনেকেই ঘুম থেকে ওঠার পর দিন শুরু করেন এই বাদাম খেয়ে।
মস্তিষ্ক ও মনকে জাগিয়ে তোলে
পাহাড়ি বাদামে রয়েছে উচ্চমাত্রার মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট জাতীয় এক ধরনের স্বাস্থ্যকর চর্বি যা জলপাই তেলেও পাওয়া যায়। এই স্বাস্থ্যকর ফ্যাট মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বাড়াতে সহায়তা করে, স্মৃতিশক্তি উন্নত করে এবং মনোযোগ বাড়ায়। প্রতিদিন সকালে এক মুঠো পাহাড়ি বাদাম খেলে অনেকের কাছে পরিচিত সেই ব্রেন ফগ হ্রাস পায় ফলে দিন শুরু হয় আরও সতেজতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে।
শক্তির ধীর ও স্থিতিশীল উৎস
এই বাদামে থাকা প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর চর্বি ধীরে ধীরে শক্তি মুক্ত করে, যা সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্লান্তি ছাড়াই কাজের গতি ধরে রাখতে সহায়তা করে। বিপরীতে, শুধুমাত্র কার্বোহাইড্রেট নির্ভর নাস্তা দ্রুত শক্তি দিলেও দ্রুতই নিঃশেষ হয়ে যায়।
হৃদয় এবং অন্ত্রের জন্য সহায়ক
ভিটামিন ই সমৃদ্ধ পাহাড়ি বাদাম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা কোষের ক্ষয় রোধ করে এবং ত্বক ও চুলে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আনে। এর ফাইবার সুস্থ হজম ও নিয়মিত মলত্যাগে সহায়তা করে, পাশাপাশি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে।এটি খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
যেভাবে খাবেন পাহাড়ি বাদাম
সবচেয়ে উপকারী পদ্ধতি হলো রাতে ভিজিয়ে রাখা। একটি বাটিতে ৪-৫টি বাদাম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খোসা ছাড়িয়ে খালি পেটে খান। এছাড়া, আপনি এগুলো স্মুদি, ওটমিল, সালাদ বা দইয়ের সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন।
পাহাড়ি বাদাম শুধুমাত্র একটি স্ন্যাক নয় এটি এক ধরনের পুষ্টির থেরাপি, যা সকালের শুরুটা করে দিতে পারে স্বাস্থ্যকর, সচেতন ও সজীবভাবে। প্রকৃতির এই ছোট উপহারটি আপনার সকালের রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করে দেখুন আপনি নিজেই পরিবর্তন টের পাবেন।