শীতের সময় শরীরকে ভেতর থেকে উষ্ণ রাখা এবং শক্তিশালী রাখতে আমন্ড বা বাদাম অন্যতম সেরা খাবার বলে মনে করেন পুষ্টিবিদরা। ভিটামিন ই, ফাইবার, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম ও ভালো চর্বিতে সমৃদ্ধ এই বাদাম মস্তিষ্ক, হৃদ্যন্ত্র, ত্বক ও চুলের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।
তবে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে শীতে ভেজানো আমন্ড খাওয়া ভালো, না শুকনা অবস্থায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুটি পদ্ধতিরই আলাদা উপকারিতা রয়েছে। মূল বিষয় হলো কখন ও কীভাবে খাচ্ছেন।
ভেজানো আমন্ডের উপকারিতা
সহজে হজম হয়: পানিতে ভিজিয়ে রাখলে বাদামের খোসা নরম হয়ে যায়, ফলে তা চিবানো ও হজম করা সহজ হয়।
পুষ্টি শোষণে সাহায্য করে: ভেজানোর পর বাদামের এনজাইম সক্রিয় হয়, যা শরীরে ভিটামিন ও খনিজ শোষণ সহজ করে।
ত্বক ও চুলের যত্নে উপকারী: ভেজানো আমন্ডে থাকা ভিটামিন ই ত্বক মসৃণ রাখতে ও চুল মজবুত করতে সাহায্য করে।
শুকনা আমন্ডের উপকারিতা
শরীর গরম রাখে: শীতের সময় শুকনা আমন্ড শরীরে প্রাকৃতিক উষ্ণতা বজায় রাখে।
দীর্ঘস্থায়ী শক্তি দেয়: এতে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ধীরে ধীরে শক্তি ছাড়ে, ফলে সারাদিন প্রাণবন্ত থাকা যায়।
সহজে খাওয়া যায়: শুকনা আমন্ড বহন করা সহজ- অফিসে, ভ্রমণে বা চায়ের সঙ্গে হালকা স্ন্যাকস হিসেবে খাওয়া যায়।
কখন ও কীভাবে খাবেন
পুষ্টিবিদদের মতে, যাদের হজমশক্তি দুর্বল বা ব্রণের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য ভেজানো আমন্ড ভালো। আর যারা শরীর গরম রাখতে চান বা অধিক শক্তি চান, তারা সকালে দুধের সঙ্গে শুকনা আমন্ড খেতে পারেন। প্রতিদিন ৪ থেকে ৬টি আমন্ডই যথেষ্ট বলে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।