অফিসের কাজের ফাঁকে খেতে পারেন যেসব খাবার

অফিসে দীর্ঘ সময় ধরে কাজের চাপের সঙ্গে ক্ষুধার লড়াই যেন নিত্যসঙ্গী। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ডেস্কে বসে কাজ করতে করতে অনেকেই হাত বাড়ান সিঙ্গারা, পুরি, চিপস, বিস্কুট বা চকোলেটের দিকে। কিন্তু এসব অস্বাস্থ্যকর খাবার শরীরে বাড়িয়ে দেয় অতিরিক্ত ক্যালোরি, যা ওজন কমানোর চেষ্টায় বড় বাধা। তাই ক্ষুধা মেটাতে চাইলে কিছু স্বাস্থ্যকর বিকল্প রাখা জরুরি। এতে পেটও ভরবে, আবার শরীরও থাকবে ফিট।

চলুন জেনে নেওয়া যাক কাজের ফাঁকে খাওয়ার মতো কিছু স্বাস্থ্যকর খাবারের কথা-

আপেল ও পিনাট বাটার

এক টেবিল চামচ পিনাট বাটারের সঙ্গে কাটা আপেল খেলে সহজেই পেট ভরে যায়। আপেলে থাকা ফাইবার হজমে সহায়তা করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। অন্যদিকে, পিনাট বাটারের প্রোটিন ও ভালো চর্বি দীর্ঘক্ষণ শক্তি জোগায় এবং মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা কমায়। চাইলে আপেলের বদলে কলার সঙ্গেও পিনাট বাটার খেতে পারেন।

ডিম সিদ্ধ

প্রতিদিন একটি বা দুটি করে ডিম সিদ্ধ খাওয়া অফিসের জন্য আদর্শ স্ন্যাকস হতে পারে। এতে প্রচুর প্রোটিন ও ভিটামিন থাকে, যা শরীরের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করে। ডিম খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে, ফলে অযথা অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে।

ফলের সালাদ বা ড্রাই ফ্রুটস

অফিসের ব্যাগে ছোট কৌটায় ফলের সালাদ নিয়ে যেতে পারেন। মৌসুমি ফল যেমন পেঁপে, আপেল, পেয়ারা, কলা বা কমলা মিশিয়ে সালাদ বানিয়ে নিলে তা একদিকে পুষ্টিকর, অন্যদিকে সতেজতাও জোগায়।
এ ছাড়া কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, আখরোটের মতো ড্রাই ফ্রুটসও হতে পারে চমৎকার বিকল্প। এগুলো মস্তিষ্কে শক্তি জোগায় এবং দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

ডার্ক চকোলেট

চকোলেট খাওয়ার ইচ্ছে হলে সাধারণ দুধচকোলেটের বদলে বেছে নিন ডার্ক চকোলেট। অন্তত ৭০ শতাংশ কোকোযুক্ত ডার্ক চকোলেট শরীরের জন্য উপকারী। এটি মেজাজ ভালো রাখে, কাজের মনোযোগ বাড়ায় এবং মিষ্টির প্রতি আকর্ষণও কমায়।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অফিসে টানা কাজের মধ্যে এসব খাবার শুধু ক্ষুধা মেটায় না, বরং মনোযোগ বাড়িয়ে উৎপাদনক্ষমতাও ধরে রাখে। তাই এখন থেকে চিপস বা পুরির বদলে হাতে তুলে নিন পুষ্টিকর বিকল্প—ভালো থাকবেন, কর্মক্ষম থাকবেন।