নিজেকে প্রাণবন্ত রাখুন দেয়ালের সাজসজ্জায়

আমরা যে ঘরে থাকি সেই ঘর কেবল বাসস্থানের জায়গা নয়। ঘর আমাদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির এক জায়গা। প্রতিটি ঘরে রয়েছে ছোট ছোট গল্প, রয়েছে ভালোবাসা ও শান্তি। তাই ঘর সজ্জায় দেয়ালকে সুসজ্জিত করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ঘরের দেয়াল যদি জীবন্ত রাখা যায় তাহলে ঘরটাকে যেমন সুন্দর লাগে, তেমনি মনও থাকে বেশ প্রাণবন্ত। কারণ পরিবেশের সাথে মনের একটি সংযোগ রয়েছে।

তাই ঘরের দেয়ালকে প্রাণবন্ত এবং জীবন্ত করতে দেয়ালের সাজসজ্জা ভীষণ প্রয়োজন। খুব সহজ উপায়ে দেয়ালকে কীভাবে সাজিয়ে এবং রাঙিয়ে তোলা যায় চলুন জেনে নেই-

রং তুলি দিয়ে দেয়ালকে খুব সহজে রাঙিয়ে তোলা যায়। তবে এর মানে এই নয় যে রং তুলি দিয়ে যা খুশি তাই কিছু এঁকে রাখা যাবে। অবশ্যই ঘরের সাথে মানানসই এবং ঘরটি কার সেই বিষয়টি মাথায় রেখে দেয়ালে পেন্সিলের সাহায্যে নকশা আগে এঁকে নিতে হবে। তারপর দেয়ালের রং এর সাথে মিল রেখে নকশাটি রং করতে হবে। সামঞ্জস্যের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।  ঘরটি আসলে বয়স্ক মানুষের নাকি বাচ্চাদের নাকি প্রাপ্তবয়স্কদের সেই বিষয়টি মাথায় রেখে দেয়ালের নকশা পরিকল্পনা করতে হবে। এছাড়াও খরচ কমানোর জন্য এ ধরনের কাজগুলো নিজেরাই ঘরে বসে করা যায়। যেমন– দেয়ালে ছোট ছোট কিছু গাছ আঁকা কিংবা পাখি অথবা ফুল, তাঁরা নানা নকশা দিয়ে দেয়ালকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা যায়। একবার কল্পনা করে দেখুন তো ঘরের একটি দেয়াল যদি এত সুন্দর করে সাজানো থাকে তাহলে বাইরে থেকে এসে যখন দেয়ালটির দিকে চোখ যাবে তখন মনটা তো এমনিই শান্তিতে ভরে যাবে।

দেয়াল নানা গল্পে নানা সময়ে স্মৃতিকে বহন করে। এই যেমন ছোটবেলার স্মৃতি কিংবা কারো বিয়ের অথবা কোন সুন্দর দিনের। দেয়াল প্রতিটা মানুষের জীবনের নানা সময়ের স্বাক্ষী হিসেবে রয়ে যায়। কারণ দেয়ালে থাকা ছবিগুলো স্মৃতির কথা বলে। পুরোনো দিনের কথা বলে। দেয়ালে চাইলেই জন্ম থেকে শুরু করে বৃদ্ধ হওয়া পর্যন্ত সকল স্মৃতিকে একত্রে বাঁধাই করে রাখা যায়। কখনো বা সাদাকালো কখনো বা রঙিন ফ্রেমে বন্দী করে রাখা যায়।

দেয়াল সজ্জায় আরো অনেক ধরনের নতুন নতুন সংযোজন রয়েছে। যেমন দড়ি দিয়ে তৈরি নানান ধরনের ঝালর কিংবা দড়ি দিয়ে তৈরি আয়না, রয়েছে ক্যানভাস। মাটির তৈরি নানা ধরনের নকশা করা শোপিস। এছাড়াও ক্রাফটিং এর সাহায্যে নানা ধরনের জিনিস তৈরি করে দেয়ালে ঝুলিয়ে দেওয়া যায়। এছাড়াও দেয়ালে চাইলে বিভিন্ন ধরনের বোর্ডের পোস্টার লাগানো যায়, যা আসলে আঠার সাহায্যে লাগানো হয়। এছাড়াও দেয়ালের কোন একটি পার্টকে চাইলে কোন একটা সময়ে জনপ্রিয় কোন বিষয় দিয়ে দেয়ালটি সাজানো যায়। যেমন- ১৯৯০ সালের হিন্দি বা বাংলা সিনেমা নানা ধরনের পোস্টার কিংবা প্রিয় লেখকের নানা ধরনের বইয়ের পোস্টার কিংবা কিছু পজিটিভ কোটেশন দিয়ে সাজিয়ে তোলা যায়।

ঘর সজ্জায় দেয়ালকে রূপ দেওয়ার মাধ্যমে ঘরকে নান্দনিক করে তোলা যায়। দেয়ালকে এমন ভাবে সাজিয়ে তুলতে হবে যাতে করে ঘরের পরিবেশটা বেশ মনোরম, উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত লাগে। যাতে করে কেউ বাহিরে থেকে এসে আপনার সুন্দর রুচি সম্পর্কে তার একটি উজ্জ্বল সুন্দর ধারণা হয়। এছাড়াও সুন্দর দেয়ালের পাশে একটি চেয়ার রেখে এক কাপ চা হাতে নিয়ে বই পড়তে বেশ ভালো লাগবে। তাই ঘর সজ্জায় দেয়ালকে সাজিয়ে তোলা একটি সুন্দর ও সহজ আইডিয়া হতেই পারে।