বন্ধুত্বের সহজ সূত্র

সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, লড়াই-ঝগড়া, দিনভর না শেষ হওয়া গল্পের মতো একটি বন্ধনের নাম বন্ধুত্ব। যার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে প্রচুর স্মৃতি। বন্ধুত্ব মানে জীবনের সব লুকানো গল্প শেয়ার করার জায়গা। বন্ধুত্ব মানে বিশ্বাস। বন্ধুত্ব মানে একে অন্যকে বুঝতে পারার শক্তি। আপনি নিশ্চয় চান, এই বন্ধন শক্তিশালী হোক, টিকে থাকুক সারা জীবন। তাহলে মেনে চলতে হবে কিছু সহজ হিসেব। যা বন্ধুত্বকে সত্যিই বিশেষ করে তুলবে।

Friendship

  • আনন্দ বা দুঃখের সময় বন্ধুদের উপস্থিতিতে সবার আগে ভরসা পাওয়া যায়। কঠিন পরিস্থিতিতে যে বন্ধু এগিয়ে আসে সবার আগে, বিপদে-আপদে যে বন্ধুটি সবার আগে তার কাঁধ দেয়, নিজের আনন্দ উদযাপনের সময় তাকে সঙ্গে রাখুন।
  • অপ্রত্যাশিত কোনো কিছুর সম্মুখীন হলে যে বন্ধুটি ভালো পরামর্শ দেয়, তার প্রশংসা করুন। 
  • বন্ধুদের ছোট-খাট ভুলের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা করতে শিখুন। এতে বন্ধুত্বের বন্ধন আরো শক্তিশালী হবে।
  • বন্ধুত্বে খোলাখুলি যোগাযোগের সুযোগ রাখুন। তাদের কথা শুনুন। তাদের স্বপ্ন, চিন্তা-ভাবনা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। তাদের যে কোন বিপদে পাশে থাকুন। 
  • কখনো কোন কারণে কাউকে হেয় করবেন না। রসিকতা করে হলেও না। তার কোন আচরণ আপনার পছন্দ না হলে কটূক্তি করবেন না।
  • বন্ধুত্ব অর্থ সম্পদ, বিত্ত-বৈভব দেখে হয় না। মনের মিল হওয়া যে মানুষটির সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে গেছে, সে সম্পর্কের প্রতি দায়িত্ববান থাকার চেষ্টা করুন।
  • বন্ধুত্বে গোপনীয়তা বজায় রাখুন। কোনো কারণে বন্ধুত্ব ঝামেলার সৃষ্টি হলে, তাদের প্রতি দেওয়া কথা রাখুন। বন্ধুত্বে বিশ্বাসঘাতকতা এড়িয়ে চলুন।