হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে মুখে লোমের আধিক্য দেখা যায়। কিন্তু এই অবাঞ্চিত লোম মুখের সৌন্দর্য নষ্ট করে। তাই এগুলো সরিয়ে ফেলতেই হয়। আজকাল অনেকেই ওয়াক্সিংয়ের সাহায্যে মুখের অবাঞ্চিত লোম তোলেন। কিন্তু অনেকেই র্যাশের ভয়ে পিছপা হন। তার সঙ্গে ব্যথারও ভয় থাকে।
তবে ইন্টারনেটে মুখের লোম তোলার নতুন একটি পদ্ধতি ইদানীং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। নেটিজেনরা বলছেন, জ্বালা, যন্ত্রণা, কষ্ট ছাড়াই আটার মণ্ড দিয়ে মুখের লোম তোলা যাচ্ছে সহজেই। তবে এই পদ্ধতি নতুন নয়। প্রাচীন কালেও রূপ-সচেতনদের মধ্যে টোটকার ব্যবহার দেখা যেত। এই প্রভাবীদের তৈরি ‘রিল’ দেখে অনেকেই সেই পন্থা অবলম্বন করছেন। কিন্তু তাতে কি সত্যিই কাজ হয়?
রূপচর্চাশিল্পীরা বলছেন, ঘরোয়া এই টোটকায় রাতারাতি মুখের লোম দূর হয় না। তবে সপ্তাহে একবার করে অন্তত মাসখানেক মুখে ময়দার মণ্ড মাখলে ধীরে ধীরে লোমের ঘনত্ব কমে।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে মুখের লোম তুলবেন কী করে?
প্রথমে ছোট একটি পাত্রে অর্ধেক কাপ আটা এবং অর্ধেক কাপ বেসন নিন। সঙ্গে আধ চা চামচ হলুদ, এক চা চামচ ঘি মিশিয়ে নিন। কাঁচা দুধ দিয়ে সব উপকরণ মেখে একটি মণ্ড তৈরি করুন।
এ বার প্রথমে মাইল্ড কোনো ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। মুখে কোনো রকম তেল, ধুলো-ময়লা যেন না থাকে। চাইলে মাইল্ড কোনো স্ক্রাবও ব্যবহার করতে পারেন।
তারপর মুখ মুছে নিন। ত্বক একেবারে শুকনো হয়ে গেলে মুখের উপর ওই ময়দার মণ্ডটি হালকা হাতে গোল গোল করে ঘষতে থাকুন। খুব বেশি চাপ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
কিছুক্ষণ এই ভাবে মণ্ডটি মুখে ঘষার পর খেয়াল করবেন, ওই জিনিসটির গায়ে সরু সরু লোম উঠে এসেছে। একবারে সবটা সম্ভব হবে না। কিন্তু ধৈর্য ধরে অভ্যাস করলে ফল পাবেন। পনেরো মিনিট পর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তারপর মুখে টোনারও স্প্রে করে নিতে পারেন।