সহকর্মীর আচরণ নিয়ে বিরক্ত হলে, প্রথমে তর্কে জড়িয়ে পড়া সমাধান নয়। চূড়ান্ত অসহনীয় হয়ে ওঠলে, এর পেছনের কারণগুলো খুঁজে বের করতে চেষ্টা করুন। সহকর্মীকে শান্তভাবে মোকাবিলা করার উপায় খুজুন।
এমন পরিস্থিতিতে কৌশলী এবং পেশাদারী আচরণে মনোযোগ দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাজের পরিবেশে সবার মধ্যে সমঝোতা, শ্রদ্ধা এবং পারস্পরিক সহানুভূতির ভাব বজায় রাখাই লক্ষ্য হওয়া উচিত।
কিছু কৌশল জেনে নিন যা আপনাকে সহকর্মীর আচরণ সামলাতে সহযোগিতা করবে।
ব্যক্তিত্ব ধরে রাখুন
অফিস একটি পেশাদার পরিবেশ, যেখানে ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে আলোচনা করলে তা আপনার স্বার্থে কাজ নাও করতে পারে। এ কারণে, সহকর্মীর বিরক্তিকর আচরণে প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে, নিজের ব্যক্তিত্ব ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, এই ধরনের আলোচনা কাজের পরিবেশের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
কথোপকথনে পেশাদারিত্ব বজায় রাখুন
যদি মনে করেন কোনো সহকর্মী আপনার বিরক্তির কারণ হয়ে উঠছে, তাহলে কাজের বাইরে তার সঙ্গে কোনো অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা বা যোগাযোগ থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। এইভাবে আপনি অকারণ বিতর্কে জড়ানো থেকে বাঁচতে পারবেন এবং আপনার পেশাদারিত্ব বজায় থাকবে।
কম গুরুত্ব দিন
বিরক্তিকর মন্তব্যকে নিজের মস্তিষ্কে স্থান না দিয়ে মজার ছলে আপনার উদাসীনতা প্রকাশ করুন। অনেক সময়, এমন আচরণে না প্রতিক্রিয়া জানানোই একমাত্র কার্যকরী উপায়। যারা শুধু বিরক্তি সৃষ্টি করে, তাদের উপেক্ষা করা সবচেয়ে ভালো প্রতিক্রিয়া।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করুন
এমন পরিস্থিতিতে উষ্ণ বাক্যবিনিময়ে জড়ানো থেকে বিরত থাকুন। সরাসরি এবং সংযতভাবে সহকর্মীকে জানিয়ে দিন যে আপনি এ বিষয়ে আরও আলোচনা করতে ইচ্ছুক নন। তবুও, যদি সমস্যা সমাধান না হয়, তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি তুলে ধরুন।