ইগো নিয়ন্ত্রণে রাখার সহজ উপায়

ইগো হলো আমাদের ‘আমি’ বা অহংবোধ। এটি কখনো আত্মবিশ্বাস হিসেবে কাজ করে, আবার অতিরিক্ত হলে আমাদের মানসিক চাপ, ঝগড়া এবং অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই ইগো নিয়ন্ত্রণ করা শেখা আমাদের জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যদি সবসময় সঠিক হতে চান, প্রতিটি ক্ষেত্রে জিততে চান কিংবা সবকিছু নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলে বুঝতে হবে, আপনার ইগো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আর যখন ইগো জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে, তখন তা অপ্রয়োজনীয় মানসিক চাপ, বিরোধ এবং অশান্তির জন্ম দেয়। এর জন্য প্রয়োজন কেবল কিছুটা আত্ম-সচেতনতা এবং কয়েকটি সহজ, কিন্তু কার্যকর দৈনন্দিন অভ্যাস।

প্রকৃতপক্ষে, আমাদের সবার মধ্যেই ইগো বিদ্যমান। কখনো এটি সমালোচনা সহ্য না করার মাধ্যমে, আবার কখনো অন্যের কৃতিত্বে বিরক্ত হওয়ার মতো ছোট ছোট আচরণে প্রকাশ পায়। তবে আশার বিষয় হলো ইগোকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন কেবল কিছুটা আত্ম-সচেতনতা এবং কয়েকটি সহজ, কিন্তু কার্যকর দৈনন্দিন অভ্যাস।

১. সবকিছুতে প্রতিক্রিয়া জানাবেন না

যদি কেউ অভদ্র কথা বলে বা আপনার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে, প্রথম প্রতিক্রিয়া হতে পারে সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেওয়া। কিন্তু প্রতিটি মন্তব্য আপনার মনোযোগ পাওয়ার যোগ্য নয়। ছোটখাটো বিষয় উপেক্ষা করা দুর্বলতা নয়, বরং এটি প্রমাণ করে আপনি অপ্রয়োজনীয় ঝগড়ার চেয়ে শান্তি বেছে নিতে জানেন।

২. সবসময় সঠিক হতে হবে না

ইগো আমাদের বোঝায় যদি আমরা ঠিক না হই, তাহলে আমরা কম গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বাস্তবে বিষয়টি এমন নয়। অন্য কাউকে শেষ কথা বলার সুযোগ দিন। প্রতিটি তর্ক জেতা জরুরি নয়। অনেক সময় শুধু শুনে চুপ থাকা, প্রমাণ করার চেয়ে বেশি শক্তি দাবি করে।

৩. একটু বিরতি নিন

সফল হতে চাওয়াটা ভালো, কিন্তু সবসময় আরও কিছু করার বা নিজেকে প্রমাণ করার চাপ ক্লান্ত করে দিতে পারে। ইগো আমাদের ক্রমাগত আরও বেশি অর্জনের জন্য তাড়না দেয়। কিন্তু প্রকৃত শান্তি আসে তখনই, যখন আপনি থেমে গিয়ে ইতোমধ্যেই যা অর্জন করেছেন তার কদর করতে শেখেন।

৪. অন্যদের কৃতিত্ব মেনে নিন

সবসময় মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ার দরকার নেই। অন্যদের কথা বলতে বা কৃতিত্ব নিতে দিন। এতে আপনার কিছুই কমে যাবে না। বরং পেছনে সরে দাঁড়ানোর আত্মবিশ্বাস অনেক সময় সত্যিকারের সফলতা এনে দেয়।

৫. সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা বন্ধ করুন

জীবন সবসময় পরিকল্পনা অনুযায়ী চলে না এটাই স্বাভাবিক। আপনি যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, সেটিতে মন দিন এবং বাকিটা ছেড়ে দিন। এতে মন হালকা লাগবে এবং মানসিক চাপও কমবে।