ক্রেডিট কার্ড থাকলেই যেন খরচ করার প্রবণতা বেড়ে যায়। নগদ টাকার তুলনায় কার্ড ব্যবহার করলে অনেক সময় অপ্রয়োজনীয় খরচ বেড়ে যায় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এর পেছনে রয়েছে মনস্তাত্ত্বিক ও আর্থিক নানা কারণ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ক্রেডিট কার্ড সচেতনভাবে ব্যবহার না করলে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বাড়তে পারে, যা ভবিষ্যতে আর্থিক চাপে পরিণত হয়।
মনস্তাত্ত্বিক কারণ
ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকেরা মানসিকভাবে খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন না। কয়েকটি বড় কারণ হলো-
টাকা খরচ হচ্ছে, সেই অনুভূতি নেই
নগদ টাকা দিলে খরচ চোখে পড়ে, কিন্তু কার্ড সোয়াইপ করলে তা বোঝা যায় না। ফলে বড় অঙ্কের খরচও সহজ মনে হয়।
তাৎক্ষণিক সন্তুষ্টি
হাতে নগদ না থাকলেও কার্ড দিয়ে তাৎক্ষণিক কেনাকাটা করা যায়। যেমন নতুন ফোন এখনই চাই- এই ভাবনায় অনেকেই খরচ করে ফেলেন।
সামাজিক চাপ
বন্ধু বা সহকর্মীদের সামনে নিজেকে বিলাসী জীবনযাপনের প্রমাণ দিতে অনেকে দামি খাবার বা জিনিসপত্র কেনেন, যা সহজ হয় ক্রেডিট কার্ডের কারণে।
রিওয়ার্ডস ও ক্যাশব্যাকের লোভ
পয়েন্ট, ডিসকাউন্ট বা ক্যাশব্যাক পেতে গিয়ে অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটাও হয়ে যায়।
অবচেতন মন
নগদ টাকার মতো খরচের হিসাব চোখে পড়ে না। ফলে কার্ড ব্যবহারকারীরা অজান্তেই বাড়তি খরচ করে ফেলেন।
আর্থিক কারণ
মনস্তাত্ত্বিক দিক ছাড়াও কিছু আর্থিক সুবিধা অতিরিক্ত খরচে প্রলুব্ধ করে।
সহজ প্রাপ্যতা
নগদ না থাকলেও কার্ড থাকায় যেকোনো সময় খরচ করা সম্ভব। অনলাইন অর্ডারেও দ্বিধা থাকে না।
ঋণের সীমার প্রলোভন
ব্যাংক প্রদত্ত উচ্চ ক্রেডিট লিমিট দেখে অনেকেই মনে করেন, খরচের সুযোগ আছে। এতে পরিকল্পনার বাইরে কেনাকাটা বেড়ে যায়।
বিলম্বিত পরিশোধ
সঙ্গে সঙ্গে টাকা দিতে হয় না, বরং মাস শেষে বিল আসে। পরের বেতনের টাকা দিয়ে দেবেন- এই ভেবে অনেকেই অতিরিক্ত খরচ করেন।
কিস্তি সুবিধা
বড় অঙ্কের কেনাকাটা কিস্তিতে পরিশোধ করা যায়। তাই প্রয়োজনের তুলনায় দামি জিনিস কেনার প্রবণতা বাড়ে।
অফার ও বিজ্ঞাপনের প্রভাব
ব্যাংক ও শপিং মলের প্রচারণা, যেমন ২০ শতাংশ ছাড় বা মৌসুমি অফার, ক্রেতাদের অপ্রয়োজনীয় খরচে ঠেলে দেয়।