ফ্যাশন মানেই দামি পোশাক নয়

আজকের দিনে নিজেকে একটু স্মার্ট, ফ্যাশনেবল দেখাতে কে না চায়? পোশাক-আশাক বা স্টাইলে নিজেকে সময় ও স্থান উপযোগী করে তুলতে পারাটা একটা গুণ। নিজেকে একধাপ এগিয়ে রাখতে স্টাইলিংয়ের জন্য অনেকটা সময় ব্যয় করতে হয় এটা সত্যি। শুধু সময় নয় উপযুক্ত স্টাইলিং-এর জন্য অর্থও ব্যয় করতে হয়। যা অনেকের জন্য সবসময় সম্ভবপর নাও হতে পারে। তবে এজন্য চিন্তিত না হয়ে সীমিত বাজেটেও নিজেকে সেরা জায়গায় চমৎকারভাবে উপস্থাপন করতে পারেন খুব সহজেই। বাজেটের মধ্যেও ফ্যাশেনেবল থাকতে প্রয়োজনীয় কিছু টিপস দেখে নিন-

ছবি: কে ক্র্যাফট

খুব ট্রেন্ডি পোশাক কিনবেন না
কাপড় কেনার সময় আমরা ট্রেন্ডি পোশাক খুঁজি। বিভিন্ন দোকান ঘুরে ঘুরে নতুন কোন পোশাকটি বেশি ট্রেন্ডি তা খেয়াল করুন। তবে বেশি ট্রেন্ডি পোশাক দুদিনেই  বাতিল হয়ে যায়। স্টাইল পুরাতন হয় না এমন পোশাক বেছে নিন। যেন পরবর্তিতে কোনো অনুষ্ঠানে পরতে পারেন। নিজেই নিজের জন্য ব্যতিক্রমি কিছু করার চেষ্টা করুন। এছাড়া আপনার আলমারিতে এবং ড্রয়ারে থাকা পুরনো পোশাককেও নতুন রূপ দিতে পারেন। 

পোশাকে ভিন্নতা আনুন
নিজেকে আকর্ষণীয় দেখাতে পোশাকে নতুনত্ব আনুন। কাপড়, রং, প্রিন্ট একই হওয়ার পরও আপনি কিভাবে পোশাকটিকে উপস্থাপন করবেন সেটাই আসল কথা। আপনাকে যথেষ্ট ফ্যাশনেবল দেখাতে নিজস্বতা তৈরি করুন। আঁটসাঁট পোশাক না কিনে শরীরের গড়ন অনুযায়ী পোশাক পরুন। স্বস্তি পাবেন এমন পোশাক পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রাখুন।

ব্যাগ ও আনুষাঙ্গিক
সুন্দর, ছিমছাম সব ধরণের পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে যায় এমন ব্যাগ কিনুন। উজ্জ্বল রঙ, স্টোন বা বাহারী ডিজাইনের ব্যাগ কেনা থেকে বিরত থাকুন। নিজের পছন্দকে রুচিশীল করতে হাতে একটি ঘড়ি পড়ুন। খুব বেশি গহনা এড়িয়ে চলুন। পোশাক স্টালিংয়ের ব্যাপারে হালকা গহনা পরুন। সাজটাও নিখুঁত রাখুন। ভারী মেকআপ না করে স্কিন টোনের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখে এমন একটি ন্যাচারাল লুক দিন। আঙুলে একটি বা দুটি আংটি পড়তে পারেন। জায়গা বুঝে হেয়ার স্টাইলের দিকে নজর দিন।
 
সর্বোপরি পরিচ্ছন্ন থাকুন। বয়স, শরীরের গঠন, ত্বকের রং, কাজের ধরণ এবং পরিবেশের কথা মাথায় রেখে স্টাইলকে গুরুত্ব দিন।