শীতের বাগানে সুগন্ধি ফুল

আমাদের অনেকেরই ফুল গাছ ভীষণ প্রিয়। শখের বশে হয়তো কেউ বারান্দার ছোট টবে, আবার কেউ বা বাড়ির আঙিনায় ফুল গাছের বাগান করে থাকেন। সারা বছর গাছের যত্ন নিলেও শীতকাল এলেই কোন কোন গাছ নিস্তেজ হয়ে পড়ে। শীতকালে ঠাণ্ডা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বাগান সংরক্ষণের চিন্তা মাথায় এসে ভর করে বৃক্ষ প্রেমিকদের। ঠাণ্ডা আবহাওয়া, কুয়াশায় খুব সহজেই গাছের স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যায়। কোনো কোনো প্রজাতির গাছপালা মারাও যায়। কিন্তু কিছু গাছপালা রয়েছে, যাতে নিয়মিত যত্ন এবং সঠিকভাবে মালচিং ব্যবহার করলে শীতকালেও আপনি সুন্দর ঘ্রাণযুক্ত ফুল উপহার পাবেন। শীতকালেও কোন ফুলগুলো বাগানের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করবে এবং কোন কোন ফুলের ঘ্রাণ বিরাজমান থাকবে, তা জেনে নিন।

জেসমিন ফুল : জেসমিন ফুলের মিষ্টি ঘ্রাণে এক ধরণের প্রশান্তি বিরাজ করে। যা মানসিক চাপকে শিথিল করতে সাহায্য করে। এ ফুলের সুবাসে মনোরম পরিবেশের সৃষ্টি হয়, বিশেষ করে সন্ধ্যায়। 

ল্যাভেন্ডার ফুল : বেগুনী রঙের ল্যাভেন্ডার ফুলের সুগন্ধি উদ্বেগ কমায়। ঘুমের উন্নত করে। এ ফুলের রঙের জন্য এটি বাগানের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।

পুদিনা পাতা : পুদিনা পাতা ফুলের গাছ না হলেও এটি আপনি বারান্দায় টবে বা বাগানে রোপণ করতে পারেন। পুদিনা পাতার চা বা মুড়ি মাখাতে পুদিনা পাতা ব্যবহারে সুগন্ধর যোগান দেয়নি। ফলে এটি ইন্দ্রিয়কে সতেজ করে।

অর্কিড: সুগন্ধি ফুলের উদ্ভিদ হিসেবে অর্কিড ফুল বাগানে রোপণ করলে বেশ ভালো মানায়। যত দিন যায়, ততই সবুজ ডাল এবং গোলাপী রঙের অর্কিড ফুলের সুগন্ধি আরও শক্তিশালী হয়। 

ইউক্যালিপটাস : ইউক্যালিপটাস পাতায় অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে, যা সতেজতা আনে। তবে জমিতে এ গাছ লাগানোর বিষয়ে অন্যমত থাকলেও বাড়িতে ইনডোর প্ল্যান্টের জন্য ইউক্যালিপটাস রোপণ করতে পারেন।

কাঠগোলাপ : মিষ্টি ঘ্রাণযুক্ত কাঠগোলাপ দেখতেও আকর্ষণীয়। কাঠগোলাপের সাদা এবং হলুদ ফুলের সৌন্দর্য্য বাগানকে আকর্ষণীয় করে তোলে।

হাইসিন্থ : কচুরীপানার মতো দেখতে নীল রঙের হাইসিন্থ উদ্ভিদটি আপনার বাগানের পরিবেশকে সতেজ করে। মালচিং ব্যবহারের ফলে শীতকালেও এর ফলন বৃদ্ধি পায়।

লেমন বাম : লেমন বাম আমাদের সবার কাছে তেমন পরিচিত না হলেও এটি ত্বকের যত্নে বেশ কার্যকরী। লেমন বাম গাছের পাতার মধ্যে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া এবং অ্যান্টি-ইনফ্লাম্মেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি এক ধরণের ভেষজ উদ্ভিদও বটে।