সুখ, যাকে ধরাও যায় না দেখাও যায় না। তবুও সুখের পিছনে ছোটে সবাই। তবে প্রশ্ন একটাই, প্রকৃত সুখ আসলে কিসে পাওয়া যায়? সবাই কি একই জিনিস পেয়ে সুখী হতে পারে? না, প্রতিটি মানুষের চাহিদা ভিন্ন। তাই সুখের গন্তব্য সবার এক নাও হতে পারে। সবাই জন্মগত সুখী হবে না- এমনটাই স্বাভাবিক। আবার জীবন পরিধির বিশাল বিস্তারে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি আপনাকে জেঁকে ধরতেই পারে। এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। সে সময়টাতে ডিপ্রেশন, হতাশা যেন আপনাকে গ্রাস করতে না পারে, তার ব্যাপারে থাকবেন যথেষ্ট তৎপর। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পা ফেলেন কিছু কৌশলে। এজন্য প্রতিদিনের রুটিনে কিছু অভ্যাসকে আপনার সঙ্গে আষ্ট্রেপৃষ্টে জড়িয়ে রাখুন। জেনে নিন সেগুলো-
সুসম্পর্ক বজায় রাখুন: সুখী হওয়ার জন্য সকালের শুরুটা করুণ অন্যভাবে। ঘুম থেকে উঠে বন্ধু, কলিগ, দাদা-দাদি বা কাছের কাউকে ‘গুড মর্নিং’ জানাতে পারেন। আপনার শুভাকাঙ্খীকে মজার একটি টেক্সট পাঠিয়ে রাখুন। সোশ্যাল মিডিয়া বা ইন্সট্রাগ্রামে পজিটিভ কমেন্টস করুন। এতে আপনি সম্ভাবনাময় নিজেকে এক নতুনভাবে আবিষ্কার করতে সক্ষম হবেন।
কৃতজ্ঞ হোন: আপনার মনের একান্ত কাঙ্খিত জিনিসটি পেয়ে গেলে, মনে মনে কৃতজ্ঞ হোন। এতে আপনি মানসিকভাবে সুস্থ থাকবেন। আপনার সুখ এবং সাফল্য আকাশচুম্বী হলেও পর্যায়ক্রমে তা ধরা দিবে খুব সহজেই। আবার কারো দ্বারা আপনি উপকৃত হলে, তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। ইতিবাচক ধারণা পোষণ করুন। নেতিবাচক মন্তব্য থেকে দূরে থাকুন। প্রতিদিনের কাজে ফোকাস করুন। লেগে থাকুন।
কথা বলুন এবং হাসুন: জানেন কী, হাসিতেও রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। কোনো একটি ব্যাপার যা আপনাকে উদ্বিগ্ন করছে, এমনটা হলে তা আপনার নিকট আপনজনের সঙ্গে শেয়ার করুন। মন খুলে কথা বলুন। জীবনের প্রতিটি মুহুর্ত উপভোগ করুন। হাসুন। জীবনে যতই উত্থান-পতন আসুক না কেন, স্পেশাল দিনগুলোতে নিজেকে আরো স্পেশাল করার চেষ্টা করুন। তাছাড়া হাসলে মানসিক অশান্তি থেকে আপনি রেহাই পাবেন। এটি স্বাস্থ্যকর অক্সিজেন গ্রহণে সহায়তা করে এবং এন্ডোরফিন মুক্ত রাখে।
প্রকৃতির সঙ্গে মিশুন: দৈনন্দিন জীবনে কর্মব্যস্ততায় হাঁপিয়ে উঠলে বাইরে থেকে ঘুরে আসুন। প্রকৃতির সতেজ বাতাসে নিজেকে দোলান। রোদের জন্য রাখতে পারেন কিছুটা সময়। একঘেয়েমিতা কাটাতে হাঁটুন। শারীরিক ব্যায়াম করুন। এতে আপনার জীবন পথে চলার ভয়-ভীতি হ্রাস পাবে।
সর্বোপরি নিজেকে প্রাধান্য দিন: নিজের সুখ এবং স্বাচ্ছন্দ্যকে প্রাধান্য দিন। যা করলে আপনি সুখী হবেন, তাই করুন। অযথা মানসিক চাপ না নিয়ে পরিকল্পনা করুন। আপনার প্রতিটি স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পরিকল্পনাগুলো নোটপ্যাডে লিখে রাখুন। জেগে উঠুন এবং নিজের যত্ন নিন।