গরমে চুলের যত্ন 

কাঠফাটা রোদ পড়তে শুরু করেছে। বাইরে বের হলেই ঘেমে নেয়ে একাকার অবস্থা হচ্ছে। গরমের দিন মানেই চুল নিয়ে বাড়তি চিন্তা। একদিকে বিশ্রী ধুলো আর ঘাম, তার সঙ্গে চুলের রুক্ষভাবও বেড়ে যায় এসময়। সব মিলিয়ে গরম এলেই খুসকি, ডগাফাটা চুল আর চুলের রুক্ষতা সামলাতে হিমশিম খেতে হয় আমাদের। বাতাসের আর্দ্রতা এই সময় বেশি থাকায় চুল নেতিয়েও থাকে। তাই গ্রীষ্মের প্রখর রোদের দিনগুলোয় চুলের বাড়তি যত্ন নেওয়া খুব দরকার। চলুন জেনে নেয়া যাক জরুরি কিছু টিপস।

★ শুধু মুখে সানস্ক্রিন মাখলেই হবে না, চুলেরও চাই এসপিএফ। অর্থাৎ মুখের মতো একই যত্ন দরকার আপনার চুলেরও। বাড়ির বাইরে বেরোনোর আগে চুলে আর স্ক্যাল্পে সানস্ক্রিন লাগিয়ে মাসাজ করে নিন।

★ চুল খোলা রাখতে যত পছন্দই করুন গরমে খোলা চুল মানেই প্রচণ্ড অস্বস্তি। তাই চুলটা বেঁধে রাখাই ভালো। বাহারি স্কার্ফ বা টুপি পরেও চুল ঢেকে রাখতে পারেন এতে ফ্যাশনেও ঘাটতি হবে না।

★ চুলের সম্পূর্ণ পরিচর্যা করতে নারিশিং শ্যাম্পু মাখুন। নারকেল, শিয়া বাটার, আর্গানিক অয়েল-বেসড শ্যাম্পু বেছে নিন। এগুলো  চুলের জন্য বেশ ভালো।একই সঙ্গে শ্যাম্পু ঠিকমতো লাগানোও সমান জরুরি! চুলে সরাসরি শ্যাম্পু লাগাবেন না। স্ক্যাল্পে ঘষে ফেনা করুন, তারপর সেই ফেনা চুলে লাগিয়ে ধুয়ে নিন। তাতে অতিরিক্ত শ্যাম্পুতে চুল রুক্ষ হবে না।

★ গরম আর ঘাম চুল এতটা চটচটে করে দেয় যে, মনে হয় রোজ শ্যাম্পু করি। কিন্তু তাতে চুল আরো রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। সপ্তাহে তিনবারের বেশি কোনওমতেই শ্যাম্পু করবেন না। প্রতিবার কন্ডিশনার অবশ্যই লাগাবেন। চুল ডিপ কন্ডিশনিং করতে কন্ডিশনারের বদলে হেয়ার মাস্ক লাগান। ঘরোয়া হেয়ার প্যাক হিসাবে ডিম, দই আর মধু দিয়ে তৈরি হেয়ার প্যাক বিবর্ণ চুলের জন্য খুব উপকারী।

★ আর্দ্রতা চুলের গভীরে ধরে রাখতে কন্ডিশনিংয়ের পাশাপাশি থেরাপিউটিক হেয়ার অয়েল মাসাজ করতে পারেন। নারকেল, অলিভ আর আমন্ড অয়েল চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। সাত বা পনের দিন পর পর চুলে অয়েল মাসাজ নিন।