প্রতিদিনই ভাইরাল হচ্ছে নতুন নতুন টিপস। তবে সব ভাইরাল হ্যাক যে কার্যকর, তা নয়। বরং কিছু হ্যাক কখনও কখনও ত্বকের অনেক ক্ষতিও করতে পারে।
তবে এর মধ্যেই কিছু পদ্ধতি আছে, যেগুলো বাস্তবেই কার্যকর এবং ডার্মাটোলজিস্টরাও অনেকাংশে সমর্থন করেন। চলুন, এমন কিছু প্রাকৃতিক ও সহজলভ্য উপায়ে রূপচর্চার টিপস জেনে নিই—
পোরস লুকাতে বরফ
একটি সাধারণ বরফের টুকরো মুখে আলতো করে ঘষলে পোরস ছোট দেখায় এবং লালচে ভাব অনেকটাই কমে যায়। এটি ক্লান্ত ত্বককে তাৎক্ষণিকভাবে সতেজ করে তোলে।
ত্বকের আর্দ্রতায় মধু
বিশেষ করে সেনসিটিভ ত্বকের জন্য মধু দারুণ কাজ করে। এটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং মোলায়েম করে তোলে।
প্রদাহ কমাতে অ্যালোভেরা
রোদে পোড়া কিংবা এলার্জি জাতীয় ত্বকে খাঁটি অ্যালোভেরা জেল আরাম দেয়। এর ঠাণ্ডা ভাব প্রদাহ প্রশমিত করতে সাহায্য করে।
চোখের ফোলাভাব কমাতে গ্রিন টি আইস কিউব
গ্রিন টি তৈরি করে বরফে জমিয়ে নিন। সেই আইস কিউব চোখের নিচে আলতো করে ঘষলে ফোলাভাব ও ক্লান্তি দূর হয়।
ঘরে তৈরি ওটমিল মাস্ক
ওটমিল, মধু ও দই মিশিয়ে বানানো ফেস মাস্ক সংবেদনশীল ত্বকের জন্য আদর্শ। এটি ত্বককে কোমল ও মসৃণ করে।
ফেসিয়াল মিস্ট হিসেবে গোলাপ জল
সারা দিন গোলাপ জল স্প্রে করলে ত্বক থাকে হাইড্রেটেড, সতেজ এবং সুগন্ধযুক্ত। গরমের দিনে এটি বিশেষভাবে উপকারী।
ত্বকের উজ্জ্বলতায় টমেটোর রস
টমেটোতে থাকা প্রাকৃতিক অ্যাসিড ত্বককে হালকা এক্সফোলিয়েট করে ও কালো দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। তবে কারও যদি টমেটোতে অ্যালার্জি থাকে, তবে এ হ্যাক এড়িয়ে চলাই ভালো।
ডিমের সাদা অংশ ত্বক টানটান করে
ডিমের সাদা অংশ মুখে লাগালে তা মুখের ত্বককে টানটান করে এবং পোরস দৃশ্যত ছোট দেখায়।
ক্লান্ত চোখে শসার টুকরো
ঠান্ডা শসার টুকরো চোখের ওপর কিছুক্ষণ রাখলে ক্লান্তি দূর হয় ও চোখের ফোলাভাব কমে।
আলুর রস ব্রনের দাগ হালকা করে
আলুর রসে থাকা প্রাকৃতিক অ্যাসিড ত্বকের দাগ হালকা করতে এবং এক্সফোলিয়েট করতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যবহারে দাগ অনেকটাই হালকা হয়।
প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে যত্ন নিলে ত্বক যেমন সুন্দর থাকে, তেমনি কমে ক্ষতির আশঙ্কাও। তবে প্রতিটি ত্বক আলাদা, তাই নতুন কিছু ব্যবহার করার আগে প্যাচ টেস্ট করে নেওয়া ভালো।