ঈদের কেনাকাটায় সময় ও অর্থ দুটোই বাঁচবে

ঈদকে সামনে রেখে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই কেনাকাটার ধুম পড়ে। তবে কেনাকাটার ক্ষেত্রে আপনি যেন সঠিক জিনিসটি কিনতে পারেন, সেদিকে দিতে হবে বিশেষ নজর। ঈদের কেনাকাটায়, সময় এবং অর্থ সাশ্রয়ী করতে যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখবেন, তা জেনে নিন- 

বাজেট করুন: ঈদের কেনাকেটার ক্ষেত্রে বাড়তি টাকা যেন খরচ না হয়, সেজন্য একটি বাজেট করুন। কেনাকাটা করতে যাওয়ার আগে আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসের একটি তালিকা তৈরি করুন। শপিং মলে যেয়ে এট-সেটা না কেনাকাটা না করে আপনার বাজেট করা তালিকার জিনিসগুলো সবার আগে কিনুন। এতে যেমন আপনার সময় বাঁচবে। তেমনি অর্থও সাশ্রয়ী হবে। 

কেনার সময় তাড়াহুড়া করবেন না: পোশাক নির্বাচনে তাড়াহুড়া করবেন না। কোন পোশাকটিতে আপনাকে ভালো দেখাচ্ছে, তা বারবার খেয়াল করুন। আপনার হাইট এবং শরীরের সঙ্গে মানানসই এমন পোশাক ক্রয় করার চেষ্টা করুন। এতে পরবর্তীতে পোশাক পরিবর্তনের ঝামেলা থেকে রেহাই পাবেন।

যাচাই করে কেনাকাটা করুন: কোনো কিছু কেনার আগে কয়েকটি দোকান ঘুরে মূল্য যাচাই করে নিন। আপনার পছন্দের পোশাক বা পণ্যটি ৩-৪টি দোকান ঘুরে কিনলে আপনি হয়তো এর থেকে ভালো বিকল্প কিছু কিনতে পারবেন। 

দোকানের রসিদ বুঝে নিন: যে দোকান থেকে জিনিস ক্রয় করবেন, সে দোকানের রসিদ বুঝে নিন। বাড়িতে রসিদগুলো একটি নিরাপদ স্থানে রাখুন। যদিও কখনো আপনার পছন্দের জিনিসটি পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে তা সহজ হবে।

পোশাক বা জুতা কেনার আগে ভালো করে দেখে নিন: পোশাক কেনার আগে তাতে কোনো ত্রুটি আছে কি না, তা ভালো করে দেখে কিনুন। জুতা কেনার আগে ভালোভাবে পরে হেঁটে চলে দেখে নিন। নাহলে ঈদের দিন পায়ে ফোস্কা পড়ার আশঙ্কা থাকতে পারে।

অপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকুন: ঈদ বলেই নতুন পোশাক কিনতে হবে, এমন ভাবনা থেকে বের হয়ে আসুন। ঈদ ছাড়াও যেন পোশাকটি আপনি পরবর্তী দিনগুলোতে কাজে লাগাতে পারেন, সে অনুযায়ী কিনুন। 

ডিসকাউন্টের পণ্য কেনা থেকে দূরে থাকুন: কথায় আছে, ‘সস্তার তিন অবস্থা’। কোনো দোকানে ডিসকাউন্ট দেওয়া হলে সে দোকানে যেয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়বেন না। আপনার যতটুকু দরকার, ঠিক ততটুকুই কিনবেন।

শপিং করার সঠিক সময় নির্বাচন করুন: শপিং করার জন্য এমন একটি সময় বেছে নিন, যেন সে সময়টাতে ভিড় কম থাকে। অতিরিক্ত ভিড়ে অযথাই ক্লান্তি বাড়বে। তাছাড়া ভিড়ে তাড়াহুড়া করে ভুল জিনিস কেনার আশঙ্কা বেশি থাকে।