নিয়মিত গোসল শরীর সুস্থ ও সতেজ রাখে। গোসল আমাদের পুরো শরীরকে পরিষ্কার করে এবং জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া দূর করে।
সকালে গোসল শরীর ও মনকে সতেজ রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আয়ুর্বেদ মতে, দিনের অন্য সময়ের তুলনায় সকালে গোসল বেশি উপকারী ও নানা রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
বিশেষজ্ঞরা আবার বলছে বিভিন্ন কথা। তারা বলেন, রাতে গোসল করা শরীরের জন্যও ভীষণভাবে উপকারী। এতে ত্বক ভালো থাকে, ভালো ঘুম হয়, মানসিক চাপ কমায় ও পেশির ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ত্বকের জন্য উপকারী
ধুলাবালি ও দূষণের কারণে আমাদের ত্বকে ময়লা জমে যায়। এর ফলে ব্রণ ও দাগের মতো সমস্যা দেখা দেয়। এটি অ্যালার্জির ঝুঁকিও কমায়। অনেকে রাতে ঘুমানোর আগে মুখ পরিষ্কার করে থাকেন। প্রতিদিন রাতে যদি গোসল করা হয় তাহলে আর আলাদা করে মুখ ধোওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
রাতে ঘুমানোর আগে গোসল করলে ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। এর ফলে ভালো ঘুম হয়। সারা দিনের ব্যস্ততার পর যখন আমরা বাড়ি ফিরি, তখন খুব ক্লান্ত বোধ করি। এর ফলে রাতে ঘুম না আসার সমস্যা হয়। এমন পরিস্থিতিতে রাতে গোসল করলে ক্লান্তিও দূর হয়ে যায় এবং ঘুমও হয়।
মানসিক চাপ কমায়
সারা দিন কাজ করার পর মানুষ মানসিক চাপে ভুগে থাকেন। এমন পরিস্থিতিতে বিরক্তির সমস্যা হতে পারে। রাতে গোসল করলে আপনার মেজাজও ভালো হবে এবং আপনি সতেজ বোধ করবেন।
পেশির ব্যথা থেকে মুক্তি
রাতে গোসল করলে ক্লান্তি দূর হয়। এটি মাথা ব্যথা, পেশি ও জয়েন্টের ব্যথা থেকেও মুক্তি দেয়। ঘুমানোর আগে প্রতি রাতে গোসল করা উচিত। তবে, যদি আপনার কোনো সমস্যা হয় তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।