ডিম খুবই পরিচিত ও পুষ্টিকর খাবার। ডিম অমলেট, পোচ, সেদ্ধ কিংবা তরকারি হিসেবে খাওয়া হয়। স্বাস্থ্যগত দিক থেকে ডিম খাওয়া ভালো। উপকারী গুণাগুণের কারণে ডিমকে ‘সুপারফুড’ও বলা হয়। প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে ডিমে। এ কারণে পুষ্টিবিদ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা পরিমিত পরিমাণ নিয়মিত ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
ডিমের উপকারিতা থাকলেও এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, যা অনেকেই জানেন না। সেসব ব্যাপারে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাহলে ডিমের ক্ষতিকর দিকগুলো জেনে নেয়া যাক।
ডিমের উপকারিতা:
প্রোটিনে ভরপুর:
একটি ডিমে প্রায় ৬ গ্রাম হাই-কোয়ালিটি প্রোটিন থাকে। যা আপনার শরীরের পেশী গঠনে সহায়তা করে এবং পেট দীর্ঘক্ষণ ভরা রাখে। ফলে ওজন কমাতে চাইলে ডিম খাওয়া উপকারী ও নিরাপদ।
ভিটামিন ও মিনারেলের ভাণ্ডার:
ভিটামিন এ, বি১২, ডি, আয়রন ও সেলেনিয়াম রয়েছে ডিমে। এতে বিদ্যমান কোলিন স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
চোখের স্বাস্থ্য:
ডিমের কুসুমে বিদ্যমান লুটেইন ও জেক্সানথিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের রেটিনা রক্ষা করে। একইসঙ্গে বয়সজনিত চোখের সমস্যা রোধে সহায়তা করে।
গর্ভবতী নারীদের জন্য উপকারী:
গর্ভবতী নারীদের জন্য ডিমে থাকা কোলিন উপাদান শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে উপকারী।
ডিমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
কোলেস্টেরল:
একটি ডিমে প্রায় ১৮৫ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। উচ্চ কোলেস্টেরলে ভোগা রোগীদের নিয়ন্ত্রিত ডিমের কুসুম খাওয়া উচিত।
অ্যালার্জি:
শিশুদের মধ্যে ডিমে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেয়। অনেক শিশুরই চুলকানি, ফুসকুড়ি বা শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা দেয়। এ কারণে যেসব শিশু বা মানুষের এ ধরনের সমস্যা রয়েছে, তাদের ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
সালমোনেলা ঝুঁকি:
ডিম অবশ্যই ভালোভাবে রান্না করে খেতে হবে। কম রান্না করা ডিমে সালমোনেলা নামে ব্যাকটেরিয়া থাকার ঝুঁকি থাকে। এটি খাদ্যে বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে। এ জন্য কাঁচা বা আধা সেদ্ধ ডিম না খাওয়াই ভালো।
দিনে কয়টি ডিম খাওয়া নিরাপদ:
একজন স্বাস্থ্যবান ব্যক্তি দিনে ১ থেকে ২টি ডিম নিশ্চিন্তে খেতে পারেন। গবেষণা অনুযায়ী, সপ্তাহে ৭ থেকে ১২টি ডিম খাওয়া যেতে পারে, এটি নিরাপদ। তবে যাদের হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা রয়েছে কিংবা ডিম খাওয়া হলে স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেয়, তাদের অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।